এ রকমের দুঃখ কখনো নামে না ;


শহরের শত অন্ধকারে হানা দিলেও
শীৎকারে মিলিয়ে যায় না ;
আকন্ঠ ঢেলে জ্বালিয়ে দিলেও
পাথরের মতো অক্ষত থেকে যায় ;
উপরে যদি ফেলি
শহরের সহস্র সৌখিন গোলাপ,
রক্তাক্ত হয় শুধু হাত থামে না দুখের ক্ষরণ ;
নগরের রঙচঙে রমণীদের
রঙিন রুমালে ঘৃণা ছিটালেও,
এই দুঃখ বিবর্ণ হয় না
উড়ে যায় না নির্ভার করে,
আমার পরিত্যক্ত এই প্রেমিক অস্তিত্ব ;
তোমার পরে
যদিও গড়ি কোটি চুম্বনের ইতিহাস,
তার একটিও ঠোঁট
দুঃসাহসী কোনো ওঝার মতন
চুষে নিতে পারবে না এই দুখের
অবিনাশী বিষ ;


একমাত্র আছে সময়,
তাও সুনিশ্চিত নয়, তবুও হয়তো
মায়ের মতো মমতার স্বর্গীয় শক্তিতে
মুছে দিতে পারে কোনোদিন,
এই দুখের নির্মম কলঙ্কিত অমর দাগ ;
এছাড়া আছে আর
অবশেষে একমাত্র সেই বিনাশ,
যে বিচ্ছিন্নতা আর ফিরতে দেয় না
তোমার মতো প্রেমহীন
আর অহংকারী বিদুষী নারীদের পৃথিবীতে ;


এই প্রত্যাখান এই অহংকার,
এতই দিগ্বিজয়ী
এক ফোঁটা অনুতাপও কাঁপাতে পারে না
প্রশংসাভুক ঐ হৃদয় তোমার ;


নিত্যদিনের শৈল্পিক মুকুটটিকে
দৃঢ় ধরে রাখার তোমার দুটি হাত,
এক মুহূর্ত গ্লানিতে হয় না নিশ্চল ;


কঠিন বিদুষী সম্রাজ্ঞী অগোচরেও তুমি
মোছো না এক বিন্দু চোখের জল ;


দরজা খোলে। বারান্দায় দাঁড়াও।
হাত নাড়াও।
প্রচন্ড উল্লাসে ফেটে পড়ে
তোমার ঐ বন্ধু সাম্রাজ্যের
মহা অনুগত মুগ্ধ পূজারীর দল ;


আর তোমার দেয়া দুঃখটি তখন,
আমার অস্তিত্বে হয় পুনর্বার
মহা অরণ্যের দানবীয় দাবানল ।


(২৪.০৭.২০২২)