এখানে একটি মৃত্যু হবে। আমরা চমকে উঠবো না।
আমাদের হাতের রেখায় নড়ে উঠবে না কোনো গ্রহ-উপগ্রহ।
কেননা এধারার মৃত্যুকে আমরা আখ্যায়িত করেছি - বিচ্ছিন্ন!
তাই এসব মৃত্যুরা আজ সর্বৈবে বিচ্ছিন্ন থাকে
                           আমাদের পৃথুল আত্মাসমুহ থেকে।
(তবে যতদিন না এরূপ মৃত্যুরা আসে আমাদেরই গৃহে।)


মৃত্যুটির বুকের ওপর পাড়া দিয়ে এখনি উঠবে প্রহসনের ঝড়।
মঞ্চস্থ হবে চাকচিক্যময় অতি প্রসাধিত নাটক।
কোথাও কোথাও শুনতে পাবো আমাদের অভ্যস্থ ঠোঁটে
                                          চুক চুক করা কিছু শব্দ,
            আর কোথাও কোথাও বেয়াড়া শব্দদের করা হবে আটক।


মিডিয়ার ঢিবিগুলো অস্থির হয়ে পড়বে
                                   শীতপূর্ব পিঁপড়েদের দলের মতো।
কোনো কোনো নেতার মন্দিরে শোনা যাবে
টেবিল চাপড়ানো চিৎকার, কেউ থাকবেন ঋষিরূপ নির্বিকার।
নীল পক্ষীরা বেরোবেন নিরাপত্তার নীড়গুলো থেকে
হিসাব কষবেন জীপে যেতে যেতে, কার পক্ষে দাঁড়ালে
                         মৃত্যুটিকে নিয়ে জমে উঠবে ফলদায়ী কারবার।
এত অপ্রীতিকর অস্থিরতা মাঝেও, আমরা ভুলে যাবো না চাবাতে,
                               সন্তানদের সাথে কোক চিপস এন্ড বার্গার।


এখানে একটি মৃত্যু হবে!
আমাদের চতুষ্পদী সত্তা বিরত হবে না গোলাপের গন্ধ শোঁকা থেকে।
হাঁটতে হাঁটতে আমরা অপেক্ষা করবো
                  বিচ্ছিন্নতায় উপভোগের জন্য, আরো একটি মৃত্যুকে ।


(১০.১১.২০২০)