ফোঁড়া তুই কবে যাবি
কেন তোর দিবস যামি
সাদা পূঁজ রক্ত ঝরে
কী যে এক যন্ত্রণা রে
উহু আহ করছি মরে
কেড়ে নিস স্বস্তি টাকে
জন্মেছিস পেছন দিকে
পাখিদের ডিমের মতো
বসা কি সহজ ওরে
হাঁটাতেও খোঁচা মারে
শান্তি নাই এই শরীরে


প্রথমে এলোপ্যাথি
ডাক্তারের লম্ফ সে কি
কত যে গুতো গুতি
ওষুধের নেই রে কথা
পারে তো অপারেশন
করে দেয় সেই তখনি
মেজাজটা মনে মনে
গেলো যে ভীষণ চড়ে
বলি আহ আরে আরে
আগে তো ওষুধ দেবেন
তারপর না দেখা যাবে
বলে মন আরে ব্যাটা
ডাক্তার তুই টাকার লোভী
সেবাটা এমন বোলে
ভরসা তো পায় না কেউই
যেন খুব হতাশ হলো
কড়া ডোজ লিখে দিলো
গিলেছি এলোপ্যাথি
হলো না কোনই গতি


তারপর হোমিওপ্যাথি
পুরিয়া গিলছি আমি
বরিকের কুসুম জলে
ভিজিয়ে কাপড় চাপি


ভেবে যাই দিনে রাতে
কী করে কর্ম করি
কী করে শহর ঘুরি
ফোঁড়া তোর বন্দি আমি


বলেছি ডিমের মতো
মুরগি বা কোয়েল পাখির
যেন তা তেমন বড়
গোড়া যে বহু গভীর
নিরাময় সহজ এত
তবে কি অপারেশন
অকবি ভীষণ ভীত


ফোঁড়া তুই সর্বনাশা
যেন তুই রাবণ ফোঁড়া
কত আর শাস্তি দিবি
কবে তুই উঠবি পেকে
কবে তুই পড়বি ফেটে
কবে তুই রেহাই দিবি
ফোঁড়া তোর দোহাই ওরে
মরে যায় এই অকবি
ফোঁড়া তুই যা নরকে
দেবো কি টিপে তোকে
অকবি টিপেই মরি ।


(১২.০১.২০২৩)