আমি আসছি রে কবি;
আমাকে ছাড়া ওড়াস্ না ঘুড়ি;
করিস্ না রঙে রঙে নীল আকাশের গায়ে
ওড়াওড়ির উৎসব ।


আজো যে জমে আছে,
এ হৃদয় থেকে উড়াবো ঘুড়িদের সাথে
আমার দুঃখগুলো সব।


তুই কি কবি ভুলে গেলি?
উড়িয়েছি একদিন দুজনে কত দুখের ঘুড়ি,
সে আকাশের প্রান্তে.....
ভেসে থাকতো যেখানে ম্লান মেঘেদের মতো
আমাদের জীবনানন্দ অনুভব ।


যখনই মনে পড়ে,
ভোকাট্টা সুখের আবেগে ভাসি
বাতাসের সাথে করি মুখর কলরব ;
কবি তোর আহা ধ্বনির ঘুড়িটি যেদিন
উড়ে এলো এ অন্তরে
কবিতার পৃথিবীতে ঘটেছিল প্রথমবার  
আমার ধ্রুপদী সত্তার উদ্ভব ।


আমি আসছি রে কবি;
আমাকে ছাড়া করিস্ না ঘুড়ি-উৎসব ;
তুই যে আমার ম্লান পৃথিবীর
একমাত্র বন্ধু অনুভব ।


(০৭.০২.২০২৩)


(** এরপরে আমার কবিতার উত্তরে, কবি যে কবিতা লিখে পাঠালো, কবিতা আসরের নিয়ম অনুসারে অন্যের রচনা দেয়া যায় না, যদি দেয়া যেত তবে দেখতে পেতেন বন্ধুরা, ঐ কবির অনন্য ছন্দময় কাব্যিকতার কাছ থেকে ভোকাট্টা ঘুড়ির মতো আমার এই কবিতা লজ্জায় হারিয়ে যেতো। "আশির্বাদ আর স্নেহ তোমাকে হে কবি, চির সুখী হও"।)