সাগরের জল এসে খেলা করে দামী কোনো রিসোর্টে
তোমার পায়ে এসে স্পর্শ করে, লাইফ অ্যামেইজিং হয়ে ওঠে।
পাহাড়ের বুকে কোনো দুঃখ এলে, তুমি ছুটে যাও কাউকে নিয়ে,
মুনলাইট ফায়ার লাইট আদিমতা পাহাড়ের বাংলোতে ।
অরণ্য পাখিদের এলে বিষাদ তুমি ধরে রাখো ক্যামেরা চোখে
আমার বুকে যদি দেখো বিষাদ তুমি ঘুরিয়ে নাও ঐ ফোকাসকে ।


রক্তের ইতিহাস লিখে লিখে তুমি হয়ে যাও কী যে শৈল্পিক
বিদ্রোহীদের নানা দুঃখের খোঁজে তুমি এক অপরূপ বোহেমিক ।
বইমেলাতে তুমি দারুণ দেবী, হ্যান্ডসাম মেনদের ঘোরাঘুরি
ওদের ঠোঁট থেকে ঝরে চুম্বন আর ওঠে সঙ্গ-ধন্য ফটোগ্রাফি ।


লিখেছি কবিতা কত প্রেম বেদনায়, ছুঁড়েছো সবই আগুনে
তোমার কবিরা থাকে আমেরিকায়, আর তোমার মনের অঙ্গনে ।
রূপকের মায়াজাল সেই কবিতা তোমাকেই মদির করে
হার্টবিট বাড়ে তোমার কী রোমান্সে যখন আসে কবিরা
তোমার এই শহরে.... ।


যতবার করি আমি অভিযোগ বলো তুমি সরাসরি,
প্রেম হলো সময়ের অপচয়, খুঁজে নাও না কোনো অপ্সরী !
অথচ প্রতিটি সন্ধ্যা-রাতে হ্যান্ডসাম জাস্ট ফ্র্যান্ডস কত দেখি
তখন ডিফেন্সে কত ফিলোসফি শোনাও তুমি হে ঈশ্বরী ।


অভিমান ভরা এই বুকের মাঝে বসিয়ে দাও দ্বিধাহীন ছুরি
অযোগ্য আমার এই সব কিছু তোমার কাছে হে ঈশ্বরী ।
সবার জন্য মন পুড়ে পুড়ে যায়, ইউ ডোন্ট বার্ণ ফর মি
সবার জন্য চোখে অশ্রু তোমার, ইউ ডোন্ট ক্রাই ফর মি !


সবার বেদনাকে বোঝাে সহজে আমারটা বোঝো না তুমি
কেননা আমি এক শৃঙ্খল প্রেমের তা চাও না ঈশ্বরী...।


হে ঈশ্বরী, তুমি বোঝো কি, তােমার হিপোক্রেসি ?
তুমি বোঝো কি !


ছুরি হাতে তুমি এক দারুণ ! দারুণ ! শেহেরজাদী ।


হে ঈশ্বরী....


হে ঈশ্বরী....
তুমি বোঝো কি, তােমার হিপোক্রেসি ?
তুমি বোঝো কি, তােমার হিপোক্রেসি !


(১৭.০১.২০২৪)