ইনামোরাটা,


রোমান ক্যাপিটালের মাইকেল এঞ্জেলো'র
ফ্রেসকো মুখরিত সেই চার্চের সামনে দাড়িয়ে
ছিলে তুমি এক ফুলকন্যা ।


মোমের মতো আঙুলে বাড়িয়ে ধরেছিলে
আমার দিকে একটি ওয়াইট লিলি, সেই মুহূর্তে আমি
যিশুর মতো অপরিসীম ক্ষমাশীল জোতির্বলয়ের মাঝে
আবদ্ধ এক বিহ্বল মানুষের মতো তাকালাম তোমার
চোখের গভীরে একটি নীলচে রঙের ভুবনে।


সেদিন বুঝলাম
ধর্মে ধর্মে কনফ্লিট থাকা উচিৎ নয়,
ধর্ম একটি চর্চা, একটি আলাদা সত্তা, যার ভিত্তি
সবসময়ই রক্ত মাংসের মানুষ ধর্ম ।
যার জন্যই যুগের পর যুগ রিলিজিয়াস ক্রুসেডের পরও
ধ্বংস হয়ে যায়নি পৃথিবীর মানব জাতি।
তুমি আমার মুখ
ফিরিয়ে দিলে স্পেনের চার্চের দিকে, জয় করার পরও
খৃষ্টানরা রেখে দিয়েছিল মুসলিম অটোমানদের ধর্মের
অনন্য শিল্প কারুকার্য সেখানকার দেয়ালে ।
আমি মুখ
ঘুরিয়ে দিলাম তোমার বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান
চীনের ইতিহাসের দিকে, সবাই আছি পাশাপাশি
ধর্মের ইভেল চক্রের মাঝেও সম্মান ও প্রীতির বন্ডেজে।


ইনামোরাটা,
তোমাকে কি বলেছিলাম ? ইউনিভার্সিটির অপূর্ব অঙ্গনে
আমি ছিলাম মহা নিঃসঙ্গ অথচ মোস্ট সফিসটিকেটেড
আত্মাধারী এক কবি। ছেলেগুলো জেনেছিল,
মেয়েগুলো জানেনি। নারীর কোমল সঙ্গ ছাড়া
সৃষ্টি হয় না কোনো কবির অমােঘ স্টোরি।
সেই সময়ে দুই নারী কিন্তু ছিল,
পড়তো লিটারেচারের দুটি ভাষার সেপারেট বিভাগে,
যাদের সাথে
দেখা হলো নিঃসঙ্গতার বহু লাইট ইয়ার্স পেরিয়ে,
যদি দেখা হতো
সেদিনের সেই রোমান্টিক যৌবনের অঙ্গনে,
হয়তো কবি আর হতাম না,
কিন্তু হতাম জীবন ঘৃণাহীন জীবন সদাচারী।


ইনামোরাটা, আমি কিন্তু অনুভব করি তুমি বাজাচ্ছো চেলো
আর আমার সমস্ত প্রকৃতি জুড়ে চলছে তোমার মোমের মতো
দু'পা, ঠোঁট আর স্তনের বাৎস্যায়ন মুখর আদরের সাফারি ।


(২১.১১.২০২৩)