ইনামোরাটা, আমি মাঝে মাঝে
নিঃসঙ্গতার আঁধার কেটে কেটে খুঁজি
কোনো রমণীর সাথে কনভার্সেশন,
সন্ধ্যায় স্বাধীনতা স্তম্ভের বিচ্ছুরিত আলোর
বিষন্ন প্রাঙ্গনের মতো আমার দুঃখগুলো
সিল্যুয়েটের মতো রেখে । আসলে
যার সাথে কথা বলার জন্য হৃদয়ের দ্বীপে
আছড়ে পড়ে সমুদ্র সফেন দীর্ঘশ্বাস,
তার থেকে চলে গেছি বহুদূরে ।
তাই কথা বলি ইনামোরাটা,
অহংকারী কাঙালের মতো তার বন্ধুদের সাথে ।
যদি সে বেদনার্ত কথামালা বাটারফ্লাই
ইফেক্টের মতো তার শৈল্পিক গ্রেটনেসের
সত্তায় আনপ্রেডিক্টেবল রূপান্তরের কোনো
জানালা অবারিত করে।


সেই রমণী লিখছে ইনামোরাটা......
মানুষের অবদানের গান, মুক্তির জন্য
অপরিসীম সাহসে যারা দিয়েছিল প্রাণ
তার শিয়র থেকে বালিশে গড়িয়ে পড়ে
জীবিত যোদ্ধাদের কাহিনির অশ্রু ।
সে এখন এ ভূখন্ডের রক্তমাখা নিমর্ম
জন্ম ইতিহাসের সাথে স্যাচুরেশনে একটি
নক্ষত্র । দূর থেকে হতে চায় প্রশংসিত,
কাছে গেলেই গলে যাবাে ইকারুসের মতো ।  
সেই সব আত্মদানের মহা আলোর মাঝে
সে এখন এক ঈশ্বরী, অপার অপরিচিত ।


তুমিও কথা রাখছো না, ইনামোরাটা ।
শিখছোনা বাজাতে চেলো, তবুও তোমার জন্য
জ্বালিয়ে রেখেছি আমাদের বিভাজনের প্রান্তরে
শত শত প্রদীপ,
ভালোবাসার বন্ধুত্বের পবিত্র প্রার্থনার মতো।


(২২.১১.২০২৩)