ঐ বাইরে কোথাও কোনো কিছু ঘটে চলেছে;


তবে আমার অতো সময় নেই,
আমার কবিতার স্বার্থপর শব্দরা ঘনতৃপ্ত ওঙ্কারে,
এক প্রকার ঠুঁটো দার্শনিকতার আবর্তে ঘরময় ঘুরপাক খাচ্ছে;
আমার কবিতারা কোনো গৌরবের অপেক্ষায় যেন
আবেগে তির তির করে কাঁপছে;


যেনো চন্দ্রের পাশে ঝুলিয়ে দেয়া হবে
আমার মহাচন্দ্র কাব্য
মাউন্ট এভারেস্ট বিজয়ের মতো
আমার কবিতার পতাকা পুঁতে দেয়া হবে সর্বত্র
আর তার বৈশিষ্ট্য হবে নিশ্চল হিমাচলের মতো গাম্ভীর্য্য;
আমার নির্জন কক্ষ কারাগার থেকে
কবিত্বশৈলীর অবিশ্বাস্য কম্পণ যেন পৌছে যাবে ইন্দ্রের দরবারে,
আর তারপরেই ঐরাবত পাঠিয়ে দেয়া হবে আমার দুয়ারে;
দুয়ার অবারিত করলে যেন,
লক্ষ কোটি ভক্তি মাল্যে ডুবে গিয়ে নির্ঘাত
আরো উর্ধ্বগামী হবে আমার বক অহংকার;


তবুও মন উন্মুখ হয়, ঐ বাইরে কোথাও কি যেন হচ্ছে,
আমার নিরাপদ আবদ্ধ দেয়ালের বর্হিপাশে আমি আজকাল অনুভব করি,
একটি অস্বস্তির মতো কোনো কিছুর আঁচড়
আর তার মুখ চেপে ধরা হাহাকার;


অনেক হয়েছে!
কবিত্বের চতুর ছুঁতোয় নির্জনতায় পালিয়ে থাকা;
আমি দুয়ার অবারিত করবো এবার,
আমি চাই,


অবধারিত এক অমোঘ চাপড়ে সম্বিত ফিরিয়ে আনুক আমার,
জাগতিক সব সন্দেহাতীত আর্তচিৎকার।


(০২.০৮.২০২০)