"জুলিয়েটনামা ১৩"


জুলিয়েট,
এত পরিচিত তোমার পদশব্দ
হৃদস্পন্দনের মতো বাজে;
তুমিই হয়তো হবে প্রথম সে মেয়ে  
যে আমাকে প্রথমবার কাঁদাবে;
রবি ঠাকুরের মতো,
তোমার চোখে দেখেছি সর্বনাশ;
তোমার মাঝেই বন্দী এখন জীবনের উচ্ছাস;
আর দেখি পুড়ছে মোমবাতি নীরবে;
ওদিকে কাটে তোমার দিন হেসে খেলে,
জানি না, এত নির্মম তুমি হলে কিভাবে?


(১১.১২.১৯৯৭)


---------------------------------------------------------------


"জুলিয়েটনামা ১৪"


জুলিয়েট তুমি আজ ডেকেছিলে;
ডেকেছিলে ঘুরে বেড়াবার নিমন্ত্রণে,
আজকের এই পয়লা ফাল্গুনে;
যাইনি আমি, ইচ্ছেগুলো খেয়েছে কুরে কুরে;
এই মন খারাপ করা সন্ধ্যায়, হয়তো ছিলে অপেক্ষায়,
তবুও যাওয়া হলো না আমার;
দেখা হলো না কালো মেয়েটির সাথে,
তার অপূর্ব ঠোঁটের হাসি;
দ্বিধা রঞ্জিত এই মনের কারণে, বসা হলো না পাশাপাশি;
আজকের এই পয়লা ফাল্গুনে, সে ডেকেছিল নিমন্ত্রণে,
কারণে বা অকারণে হলো না যাওয়া, হয়তো কখনো হবেও না,
কাটবে শুধু যে কাল,_ একাকী, অতি ধীর হৃদয় রক্তক্ষরণে।


(১৩.০২.১৯৯৮)


--------------------------------------------------------------


"জুলিয়েটনামা ১৫"


জুলিয়েট, তুমি কোথায়?
তুমি আছো আমার সম্মুখে,
হে কালো মেয়ে, তবু যেন তুমি কোথায়!


জুলিয়েট তুমি চলে যাও,
চলে যাও কুয়াশামাখা ভোরের সেই নির্জন মফস্বল শহরে;
খুঁজে নাও তাকে, এক হাতে স্যুটকেস,
ওড়নায় মুছে নিও তোমার ললাটের ঘাম;
ক্ষণিক দাঁড়াও ঝরা পাতাদের মাঝে,
আর ভাবো ক্ষণিক এই নির্জনতায়,
তার বিস্ময়মাখা মুখ, যখন সে দেখবে তোমায়;


জুলিয়েট, তুমি কোথায়?
এভাবে থেকোনা মোর সম্মুখে;
হে কালো মেয়ে, সব দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে, মন খুলে বলো আমায়,


তুমি কোথায়?


(১৬.০২.১৯৯৮)
(জুলিয়েটনামা ১৫, আসরে পূর্ব-প্রকাশিত, অনুক্রম বজায় রাখার জন্য পুনরায় দেয়া হলো।)