"জুলিয়েটনামা ৯"


জুলিয়েট,
আমি যে ঘরে থাকি, সে ঘরের দেয়াল থেকে পলেস্তারা খসে পড়ে,
তুমি কি কখনো আসবে সে ক্ষয়প্রাপ্ত ঘরে?


জুলিয়েট,
আমি যে ঘরে থাকি, চারিদিকে অগুনিত গানের ক্যাসেট,
তিন দিকে শেল্ফ ভর্তি বই; গ্রন্থদের মনােরম সেই ভিড়ে,
তুমি কি কখনো আসবে সে সমাকীর্ণ ঘরে?


জুলিয়েট,
ঘরে ফেরার যে পথটি ছিল আগে,
পায়ের নিচের নিস্তব্ধতা উপভোগ করতাম পুরো সত্তা জুড়ে;
এখন শুধু ভাবি, আমার হৃদয়ের মতন নির্জন পথটি ধরে,
তুমি এসে ম্লানতা নাকি উজ্জ্বলতা হবে আমার ঘরে?


জুলিয়েট,
ছিল প্রিয় ছাদে বসে জ্বলন্ত ক্ষুদ্র চুরুট
হাতে পূর্ণিমা চাঁদের দিকে তাকিয়ে থাকা, সর্বস্ব জুড়ে চাঁদনী মুগ্ধতা,
এখনও যে সে পুরোনো চাঁদ, শুধু তোমার মুখটি ওখানে আঁকা।


(২১.১১.১৯৯৭)


--------------------------------------------------------------


"জুলিয়েটনামা ১০"


জুলিয়েট,
তুমি কি দেখেছো, এই অলস দুুপুরের আকাশে
ফুটে আছে অপূর্ব ঘন নীল?
যেন বেদনার একাত্ম নির্জন রঙ
ছড়িয়েছেন ঈশ্বর, সমগ্র বিরহী বিহঙ্গের নীলিমায়;


নাকি যেমন বলেছিলে তেমন, খুব সাধারণ,
নেই কোনো অথবা কারো,_ কবিতার মতন স্বর;


পরিপাটি করে শুধু গুছিয়ে রাখা তােমাদের ঘর;
কোথায় আবার থাকে অবসর;
গৃহকর্মে হচ্ছো সাথী, সাহায্য করছো মা'কে,
টুকিটাকি সংসার আর ঘনিষ্ঠ কথাদের ফাঁকে ফাঁকে।


(২২.১১.১৯৯৭)