দুই বানরের লেজটা ধরে ঝুলতে হবে আমায় !
খায়েশ বদের কাব্য ভূমি ছাড়তে হবে জানায় !
মশা মাছি জ্ঞান দেয় রে স্পর্ধা তোদের দেখি !
ব্যাঙাচিদের শখ কত রে পরোয়া করে লেখি !


শোন ইবলিশ কাব্য কলার ক'ও শিখিস নাই,
অন্ত্যমিলটা দিলেই যেন তাধিন তাধিন তাই !
এই বেকুবের একঘেয়ে ঢং ধরায় মাথা ব্যাথা,
নানা রকম চর্চা অধম ভয়ে ভেজাস কাঁথা ;


দু'দিনের দুই পন্ডিত ওরে বিকট বিরাট কবি !
দেখনা তোরা বুড়ো ভামের সেকি কুদোকুদি !
খোলস খুলে বের হয়েছে দুইটা খবিশ ষন্ড,
মুজিব মারা মোশতাক আর মীরজাফরী ভন্ড ;


ভিক্ষা করে পাতা ভরাট ভাবিস কি তুই মহা !
আমায় ঘেটে লাভ নেই রে আমি আজদাহা;
ভিক্ষা করে ঘর পূর্ণ লজ্জা শরম নাই !
ক'দিন থামা দেখবি পাতায় থুথুও ফেলে নাই;


তোদের মতো তুচ্ছ আমার পায়ের পোকা-মাকড়,
তোদের মতো রামছাগলের মানায় গৃহের চাকর;
অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী আমড়া কাঠের ঢেঁকি,
কবি রাজ্যে দুই কুষ্মাণ্ডের, তবু মস্তানিটা দেখি।


(১০.০৪.২০২২)


( ☆ কবিতা বোঝার সুচারু বোধ জ্ঞান অর্জন করতে হবে। সমৃদ্ধ মননে সকল প্রকার কবিতা বোঝার জ্ঞান অর্জন করেই তবে বিভিন্ন রকমের অনুভবে লিখিত কবিতায় সঠিক মন্তব্য দেয়ার চর্চা করতে হবে। একমাত্রিক বাক্স বন্দী চিন্তা চেতনায় কখনো উদার পাঠক বা কবি হওয়া যায় না। একটি অবুঝ মন্তব্য কবিতার সৌন্দর্য হানি করে এবং তা অনধিকার চর্চা।)