আজ থেকে এক বর্ষ আগে, এই দিনটিতে,
ঘটে গেলো কারো জীবনে একটি বিস্ময়;
কবি হিসেবে পেলো সে নবজন্ম, সৌখিন সুখের এক কবি পরিচয়;
অজ্ঞাত, অনামা, কোন একদিন লিখে ফেলেছিল সে,
শীতলক্ষ্যার পাড়ে বসে তার কিশোরকালে,_ প্রথম কবিতা;


এরপর থেকে
বুকের ভেতরে, প্রাচীন কালো গুম্বুজের মতো সব দুঃখ ধারণ করে,
কবিতা লিখতে লিখতে শুধু ছিল তার, ফরিয়াদ আর ফরিয়াদ!
"কেউ কি কখনো আমাকে কবি বলে ডাকবে না?"


যুগের পর যুগ পার হলো, কত না প্রেম পর্ব এলো তার ভুবনে;
আর সে লিখে যেতে থাকলো, যেন ঠিক একদিন লিখে ফেলবে সে "শাহনামা";
কত পত্র দিলো, সম্পাদকের কৃপার পদতলে;
তবে সব পুড়ে পিষে ছাই হলো, ওদের অগ্রাহ্য করার ক্ষমতার আগুনে;
কবি'র কোনো কবি বন্ধু নেই, নেই কোনো চেনা বন্ধু প্রকাশক,
ডায়েরীর পৃষ্ঠায় পৃষ্ঠায় কবিতাদের হট্টগোলের শুধু মহা উৎসব,
তবু মুছে যায় না হৃদয় থেকে, কবি অপরিচিতির নীল সমুদ্র শোক;


তারপর পৃথিবীতে এলো করোনা!
এবং এখন যা বলবো, আমাকে কিন্তু ভুল বুঝো না;
অকবিটি আবার লিখলো কবিতা "করোনা",
যখন এ পৃথিবীটি হোয়াটস অ্যাপের দুনিয়া;
করোনা কবিতাটি সে পাঠালো অনেক বন্ধুদের,
প্রশংসা, প্রশংসা! ভেতরের কবি বাসনা গান গেয়ে উঠলো ফের;
না! এবার আরো চাই প্রশংসার ব্যাপক পরিধি,
মধ্যজীবনে চলে এলো হায়! কবে প্রকাশিত হবে আর কবি'র নিধি;


খুঁজে বেড়াতে লাগলাম অন্তর্জাল,
কোথাও কি নেই বাধাহীন কবিতা লেখার ঘর?
খুঁজতে খুঁজতে ওমা! হঠাৎ কি দেখি,
জ্বল জ্বল করে জ্বলছে এগারোটি বছর ধরে!
অনন্য আলোয় আলোকিত এক কবিতার আসর!


ধূলিকণা অনুদানব করোনাই শেষ পর্যন্ত,
এনে দিলো কবি হবার সৌভাগ্য পথের 'পর!
জানি, জানি,_ তা শোনালো খুব স্বার্থপর;
অবশেষে আমি কবি, অকবি, সৌখিন কবি,
যে ভাবেই শ্লেষে বা আশ্লেষে ডাকো না তুমি,_ কবি বলে এরপর,
আমাকে কিন্তু কবি করে দিলো করোনা,_  আর "বাংলা কবি ও কবিতার আসর"।


(২৫.০৩.২০২১)


(অনন্য আলোয় আলোকিত এই কবিতা আসরে, আজকের এই দিনে, ঠিক এক বছর আগে, আমার প্রথম কবিতা ০৭/০৪/২০২০, ০১:৪৫ মি: এ প্রকাশ করি। আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, কবি ও কবিতা আসর এর প্রধান উদ্যোক্তা এবং কর্ণধারদের, বিশেষ করে, কবি পল্লব আশফাক, কবি অনিরুদ্ধ বুলবুল এবং কবি কবীর হুমায়ূন এর প্রতি। কবি পরিচিতির জন্য একটি অনন্য ক্ষেত্র সৃষ্টি করে, আমাদের যেমন খুব সুখী করেছেন, তেমনি, স্রষ্টার কাছে এই প্রার্থনা, দোয়া আমাদের সকলের, আপনারা চির সুখী হোন, চির সুন্দর থাকুন সারাটি জীবন।)