কবিতার শরীর গুমড়ে কাঁদে আমার ভেতর;
স্বভাবতই মস্তিষ্কে এই ক্রন্দন চিৎকারে, আমি হয়ে উঠি অস্থির, যন্ত্রণাকাতর
আমাকে জন্ম দাও, জন্ম দাও......
প্রস্তুতিপর্বে পুড়ে ছাই হয় কয়েকটি সিগারেট
দেহের ক্ষতি ছাড়া আর কোনো সফলতা - আমি খুঁজে পাই না;


কবিতার শরীরের সেই সম্ভাব্য কাঠামোতে ধরা দেয়
ভার্সিটির সেইসব রমণী,
যাদের সাথে কোনোকালেই হয়নি, কোনোরুপ বাক্যালাপ;
তারপর হয়তো অভিমানী বন্ধুর মুখটি
ইংল্যান্ডের গ্রামের পথে যে হেঁটে চলে সকাল সন্ধ্যায়
অথবা কল্পিত কোনো দুঃখ বেদনা
বসন্তের এলােপাথারি বাতাস জ্যোৎস্না রাতে - এরকম অর্ধভাবনা যখন যা ইচ্ছে
তাতেই যেন কবিতাটি জন্ম নিতে, খুব উন্মুখ;


কবিতার শরীর গুমড়ে কাঁদতে থাকে
প্রসব যন্ত্রণায় অস্থির আমি এক অপ্রসন্ন গর্ভাধার
অসহ্য একসময় দ্বারস্থ হই সিজারিয়ানের
অতঃপর কলমের জরায়ুুমুখ দিয়ে ভূমিষ্ট হয় - একটি অপূর্ণাঙ্গ অপুষ্ট কবিতা;


কবিতাটি অসহায় চোখে তাকিয়ে থাকে আমার দিকে
যেন প্রশ্ন করে - এটা কি করলে তুমি?
মৃদুস্বরে উচ্চারণ করি আরেকটি বিব্রতরাঙা পঙক্তি


হে কবিতাগণ তোমরা বেছে নিয়েছো এমন
একজনকে - যে মূলত খুব রোমান্টিক কিন্তু পুরোপুরি প্রত্যাশিত ব্যর্থ এক কবি।


(২০.০৩.১৯৯৭)


(কবি প্রিয় হাবিবা বেগম কে উৎসর্গ। কবি, সেদিন ১৯৯৭ সালের ডায়েরিতে এই কবিতা খুঁজে পেয়েই চমকে উঠলাম! আরে, আমার প্রিয় কবির প্রথম কবিতার মতো আমিও যে লিখেছিলাম একই অনুভবে, তা মনেই ছিল না! তবে কবি, আপনার কবিতার সাথে তুলনীয় নয়, এ নিতান্তই সাধারণ মানের, তবুও আপনাকে উৎসর্গ করলাম ভালোবাসা, শ্রদ্ধা আর নিবিড় কবি বন্ধুত্বে। কবির জন্য শুভেচ্ছা আর অনেক দোয়া তার সুখী একটি কবি জীবনের জন্য।)