সুখের লাইগা
পার করলাম কত না জীবন পহর,
বইয়া গেল বুকের ভেতর শোক কান্নার নহর;
দেখি খা খা নীলে উদাস চিলগুলানের উড়াল,
আহা কী যে নিরাল,
কী যে ভাইসা থাকনের শান্তি ;
দশ গজ দূরে ঘর সংসার, কত্ত আহাজারি!
শব্দ আর শব্দ, শুধু অভাব যন্ত্রণার মহামারী;


সামাইন্য আমরা, তবু চাইরদিকে কত যে প্রভু;
থামে না তাগো কষ্ট দেওনের ধান্ধা,
যেন্ আমগো জীবন আজীবন  
গোয়াল ঘরে গরুর মতন বান্ধা;
ঐ মহা মুনিবের কাছে
আমরা নাকি হইলাম কম হিসাব দিবার বান্দা;
লোকে কয়
যত্ত সুখ অপেক্ষাতে আছে ঐ পারে,
আমগো মতো নগইণ্যরে তখন তিনি রাখবেন
রাজাগো মতোন খানা আর কাপড়ে;
এই যে চাইরদিকে কত জমিন্দার প্রভু !
উঠতে বইতে শাসন করে,
আর খোক্কসের মতো বিনা বিচারে
শুধু কাড়ে আর কাড়ে ;
তারা কী তহন হইবো আমগো খিদমতে
দাস আর চাকর ?
কানবো কী তহন "বাঁচান হুজুর" কইরা
আমাগোই দুই পায়ের উপর ?
আমরা যেমুন করি; এই দুনিয়ায় ;
এই দুনিয়া যেন্ তাগো দিছে ঐ মহা মুনিবে
চির দখলদারি,
আর আমগো জনমভর চুইষা খাওনের খবরদারি।


সুখের লাইগা
দিলাম আজীবন নিন্দ হারা কত না প্রহরা;
দেখা তো পাইলাম না কোনো সুখের কোকিলা,
কোন্ বৃক্ষ জগতে তার বাস, রইয়া গেল অজানা।


(১৬.০১.২০২৩)