আমাকে মানায় না কোনো কিছুতেই ।


জীবন অথবা প্রকৃতির যে কোনো ঐশ্বর্যেই
আমি গৃহীত বা সুন্দর হয়ে উঠি না ।
আমাকে মানায় না পাহাড়ে সমুদ্রে অরণ্যে
তাই হয়তো
যে নারীদের আমি প্রেমে করে তুলি ঈশ্বরী
তারা আমাকে সাজায় না তাদের পাশে ।
নিবিড় সঙ্গ-সুখে, দূর দূর আরক্ত অভিযানে
তারা আমাকে নিতে পারে না এবং
এতটুকুও ব্যথিত হয়ে ওঠে না।


আমাকে মানায় না আবহমান সংস্কৃতির
অথবা দারুণ আধুনিক কোনো পোশাকে ।
মানায় না অর্থ বিত্তের আরশে ।
আনন্দ কোলাহল আড্ডা... বেমানান,
বেমানান বলে হাসে।


মানায় না আমাকে কবিতার শিল্পীত শরীরে
একদমই মানায় না কবি রূপে,
তাই ছিটেফোঁটা নেই কোনো পরিচয় আমার
ছাপার অক্ষরে,
মানায় না কথা, সুরে, গীটারে, গানে...
তবু নির্লজ্জ গোঁয়ারের মতো
               আমাকে দেখে সবাই সেখানে ।


আমাকে মানায় না কোনো কর্মক্ষেত্রে
রক্তচোষার মতো চুষে নেয় আমার মেধা,
তবু অবদানের স্বীকৃত স্থান
                বা উজ্জ্বল চিত্র হতে দেয় না ।


সুনীলের মতো সমৃদ্ধ অনুভব নিয়ে
বাসস্টপে দাঁড়ালেও, তিন সেকেন্ডের জন্যেও
কোনো নীরাকে আমার পাশে মানায় না ।


আমাকে মানায় না ভালোবাসার এ শহরে
তাই সে তার কংক্রিটের ক্রুশে
বিদ্ধ করে রেখে দিলো বন্ধুহীন, প্রেমহীন বন্দীত্বের
এক করাল অভিশাপে।


ভুল করে বিধাতা, সমঝোতার কোনও রক্ত
প্রবাহমান করেননি আমার মাঝে,
অথবা পৃথিবীকেও করেননি অর্পণ
আমাকে বুঝে নেবার সেই দুর্লভ আবেগটিকে।


অতঃপর মানিয়ে নিয়েছি এই আমাকে
অভিমান অভিযোগ ও জীবনকে দুর্দান্ত ঘৃণা তে
জীবন কামুকের মুখে রাগ অগ্নির হলকা ছুঁড়ে দিতে
এবং জানি, বঞ্চনার পথে বর্জিত বালকের মতো
একা থাকাটি খুব মানিয়েছে আমাকে...
তবে তার থেকেও প্রার্থীত ও প্রশংসিত
সবচেয়ে বেশী মানাবে আমাকে ঐ মৃত্যুটির সাথে।


(১৬.০২.২০২৪)