ডাস্টবিনের কিছু কুক্কুরি আর শ্মশ্বানের কিছু শক্কুনী
যদি দাঁত আর নখরে নষ্ট করে দিতে চায়
তোমার সরলতা, নির্মল মন, পুস্পিত হৃদয়, অর্থাৎ তোমার জীবনটাই;
আর তুমিও যদি কুঁকড়ে যাও ভয়ে, শঙ্কা আর ঘৃণায়,
তবে তো জিতে যাবে ওরাই!


লক্ষী রমণী!
তুমিও শিখে নাওনা ওদের মতো বাজিমাত কয়েকটি দাবার চাল?
ক্ষতি কি, একটু না হয় শিখলে ডিপ্লোমেসি!
ঐ হায়নাগুলো ছাড়াও, এই প্রান্তরে অনেকেই রয়েছে,
যারা জানে তুমি লক্ষগুনে কতটা ভালো;
তুমি নিজেও জানো না, তুমি কিরকম শুদ্ধ....;


কোথায় তুমি হাসবে?
না...ভর দুপুরে, ট্র্যাফিক জ্যামে, আমার পাশে ভাসালে চোখের জল;
কান্নার চশমা কোলে রেখে বললে,
“আজ সারারাত আসবে না ঘুম, বিছানায় এপাশ ওপাশ কষ্টে....”


যে নারী একটি আগন্তুককে,
মাত্র ছ’মাসের পরিচয়ে, অনায়াস বিশ্বাসে আপন করে নিতে পারে,
দেখাতে পারে গোপন চোখের জল, নীল দুখের অতল,
ভেবে দেখো, সেই রমণী ‘তুমি’ - কতটা ভালো!


আরেকটু বলি,
অনেক বছর আগে, যাকে বেঁধেছিলে আত্মার সাথে,
কিন্তু ঈশ্বরের হঠাৎ ইচ্ছায়, হারিয়ে গেলো সে গহীন বিবরে;
তারপর কেটে গেলো ষোলো সহস্র রজনী;
থেকে গেলে একা, নিঝুম নির্জন দ্বীপের মতো একা;
বুকে ধরে রাখা যত উত্তাপ নিভিয়ে দিলে
সঙ্কোচে, অভিমানে, তবু নষ্ট হওনি, ভ্রষ্ট হওনি, লঙ্ঘন করনি,
রেখেছো নিজেকে রীতিসিদ্ধ পবিত্র;


আরেকটু যুক্তি দিই, এই আগুন্তুক মাত্র ছ’মাসের পরিচয়ে,
তোমাকে নিয়ে লিখে ফেললো আস্ত একখানা কবিতা;
তোমার দুঃখের সাথী হতে, চোখের জল মুছে নিতে
আর কিছুটা...ভুল বুঝো না...ভালোবেসে...
তাহলে বুঝে নাও, কতটা লক্ষ লক্ষ গুনে তুমি ভালো;
কাঁদবে না, একদম না, কক্ষনো না...।।


(সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৬)