এসো হে অপরিচিত নারী
অদেখা, তোমাকেই বন্ধু করে তুলি।
সমুখেই মৃত্যুর দরজা
ফিরে না আসার এক অনন্ত পথের সাথে
হতেই হবে যে মিতালি,
তবু এসো নতুন করে শুরু করি।
শব্দে শব্দে অদেখার সীমানা পেরিয়ে
তবে অবতীর্ণ হও তুমি  
দেখার এই পূণ্য ও অপূণ্য মিশ্রিত প্রান্তরে
রক্ত-মাংসের অবয়বে এসো হাত ধরি।


কেননা কৈশোরের কিশলয় দিনে  
ছিল কিছু শূন্যতা
সে শূন্যতায়, নামেনি আজো ডানা মেলে
কোনো শ্যামল অপ্সরী।
হৃদয় জুড়ে সেদিনের কিছু বঞ্চনা
বকের মতো উড়ে উড়ে
আজো ওরা তাড়া করে কী যে বেদনায়,
এসো তাদের বিতাড়িত করি।


ঐ রক্ত রাঙা সময়ে পূর্ণ চন্দ্রের মতো
রূপালি বিষাদে ভরা ছিল কিছু অপূর্ণতা,
হায়! সেকি অপূর্ণতা......
চলো আজ সেসব
পূর্ণ সমৃদ্ধ নক্ষত্রের রাতের মতো
ঝলমলে করে তুলি।
তুমি হয়ে যাও আজ
আমার কৈশোরের বেলাভূমিতে
কোনোদিন না আসা
সেই অনন্য কল্পনার কিশোরী।
এসো আঁকি, কৃতজ্ঞতার এক উষ্ণতম চুম্বন
তোমার কপালে,
তারপর মৃত্যুর দরজায় হাত রাখি ।


অভিমানের আকাশে
শুধু কোনো এক বিহঙ্গ একাকী
আর করবে না ডাকাডাকি ।


(২৬.০৪.২০২৩)