নারী! তোমরা সব একসাথে দাঁড়াও
নারী! তোমরা তোমাদের ওড়না ওড়াও
মুক্তির নিশানার মতো ওড়না ঘোরাও
অচল অতল প্রাচীন যত, নির্মূল করে দাও
আইনের ফুল ফুটে আছে আজ, তোমাদের পাশে,
বাংলাদেশের আধুনিকতার মাটিতে;


বিস্ময় হলো বিশেষ করে, পৃথিবীর এই পূর্ব মাটির
আধুনিক অর্থ আর রীতিনীতিতে, বহু সামন্তবাদী স্বামী নারীকে
খাটাবে, তার মধু উপার্জন খাবে দিনরাত, তারপর কলসির
জলে মন্ত্র ছিটিয়ে, নারীমুক্তির ভূত তাড়াবে প্রতিদিন;
প্রাচীন গ্রন্থের পুরুষতান্ত্রিক অনুশাসনের মাস্তানির দড়িতে,
বাঁধবে, পেটাবে এবং উপগত হবে, নারীর ইচ্ছে থাক বা
না থাক; লবণ কম হলে ঝোলে, ছুঁড়ে মারবে প্লেট, সারাদিন
খাটাখাটনি করা নারীর করুণ মুখে; কয়েকবার ঝাঁকি দিয়ে
নারীর খোঁপার চুল, বেশ পুরুষালি চন্ডাল সুখে,
কবিতা লিখতে বসে যাবে, অচল অনুলিপি অনুকরণে;


স্যাডিস্ট এইসব কপটাচারী বদমাশ, তারপরও মেটে না আশ,
শ্বাসরোধী বস্ত্রে, কেড়ে নেবে চোখ থেকে নারীর মুক্ত আকাশ,
নিঃশ্বাস থেকে নির্মল বাতাস, সামান্যতম নারী স্বাধীকারের
অবকাশ, দেবেই না নারীকে এইসব পশুরা; আধুনিক দুনিয়ায়
এইসব নারী নির্যাতনকারী বদ, কি করে করছে বসবাস এখনো,
আধুনিক পুবালী মাটিতে, কে জানে!


কবিতায় আবার রিভিশন দিয়ে, প্রাচীন কথাদের নতুন করে
বাঁদরের মতো নাচায় এরা, অন্যায়ের জঘন্য গন্ধে ভরায় চারপাশ,
যাতে এদের আদ্যিকালের নারী শাসনের, ভোগ মচ্ছব চলতে থাকে অবিনাশ;


শোনো, বন্য কুষ্মান্ড, আসছে সময় বা এসেই গেছে হয়তো,
নারী তাদের ওড়না দিয়ে তোমাদের গলায় পড়াবে ফাঁস,
মুক্ত ওড়না মুক্ত আঁচল হবে, নারী মুক্তির পতাকা, আর
তোমাদের মতো হিংস্র পশুদের জন্য হবে অন্তিম ত্রাস;


নারী! তোমরা সব একসাথে দাঁড়াও!
মুক্ত জীবনের ওড়না আকাশে উড়িয়ে দাও!
মুক্ত পায়রার মতো উড়ালে মুগ্ধকর সৌন্দর্য্য হও,
মন্থর মেঘের শুভ্র স্বাধীনতার মতো ভেসে বেড়াও!
তোমাদের পবিত্র আঁচল, পতাকার মতো আকাশে ওড়াও!
সময় এসেছে নারী, প্রতিবাদ ধ্বনিতে তোমরা মুখর হও!
প্রগতিশীল পৃথিবীর, দুর্নিবার নির্ভীক চিত্তের রমণী,
জায়া ভগ্নি অর্ধাঙ্গিনি, আর অমরতার জননী হও।


(০৭.০৭.২০২০)