গ্রন্থমেলায় দাঁড়ানো তোমার সেই
সরল সুমিষ্ট স্কুল বালিকার মতো অনন্য ছবিটি দেখলেই,
খুলে যায় অনাদি গ্রন্থের পৃষ্ঠা;
গণগণে স্বর্ণাভা শেকলের মতো ঐশ্বরিক অক্ষরলিপি
আমার সমগ্র অস্তিত্বে পরায় বেড়ী;
আমাকে খুব মুগ্ধ হতে দেয়
তবে আর অগ্রসর হতে দেয় না বিন্দুমাত্র
অনুভবের অন্য কোনো রাঙা প্রান্তরে;
হে আলেকজান্দ্রিয়া,
আমাকে দাও ভালোবাসার বিশ্ব পাঠ
যাতে এ নারীকে আমি বোঝাতে পারি, বুঝতে পারি;
জ্বালাতে চাই স্বর্গের দীপিকা বিদুষী এ রমণীর শুদ্ধ মনোলোকে,
ঝরাতে চাই তার অন্তরের কোমল পুষ্পপত্রে ভোরের স্নিগ্ধ শিশির;
আমি বাঁধতে চাই তাকে নিয়ে
বেহেশতের পাখিদের মতো অক্ষয় প্রেমের নীলোৎপল নীড় ।


(২৭.০৪.২০২২)