এক ধরনের আনন্দ নাকি
নিঃসঙ্গতার মাঝে আছে !
তবে হে প্রিয় হুমায়ূন,
প্রশ্ন করি তোমারই কাছে ?


সে নিঃসঙ্গতায় কি
আরো নিঃসঙ্গ নক্ষত্রেরা
আর নীল পরীরাও নাচে ?
তোমার মতো পূর্ণ মহান প্রেমী
নাকি অপূর্ণতার শায়কে বিদ্ধ আমি,
কে বেশী আনন্দে বাঁচে ?


সেই নিঃসঙ্গতা কামড় বসায়
কোনরকমের ধাঁচে ?  
কুকুর, হাঙর, কাঁকড়া-বিছে
সাপ নেকড়ে নেউলের মতো
নাকি টোকার মতোন আদর কামড়
যেমন দেয় যে মাছে ?


আছে হুমায়ূন আছে.......
এই জীবনের নিবিড় যত ছাঁচে
আমার নিশিত নিঃসঙ্গতা
মৃত্যু মৃত্যু জপ আনন্দে নাচে ।


(২০.১২.২০২৩)
      
*নিশিত - অত্যন্ত ধারালো ।


**কবিতাটির প্রাককথনঃ নিঃসঙ্গতার বোধের অভিশপ্ত তিলক নিয়ে জন্মগ্রহন করেছি। হয়তো সেটা ছিল আজ কবি নামের এক অক্ষম-নির্বোধ হবার ভবিতব্য চিহ্ন। কয়েকদিন আগে চোখ পড়ল ১৯৮৭ সালের ডায়েরীর দিকে। হাতে তুলে নিলাম। পাতার পর পাতায় বিষন্নতা, একঘেঁয়েমি আর নিঃসঙ্গতার হাহাকার, আহাজারি ! কী বিপর্যস্ত পরিস্থিতি বয়স ১৬ বছর পূর্ণ হবার প্রাক্কালেই ! এখনও, আমার এক প্রিয়ার ভাষ্য অনুযায়ী, এই আমি "বুড়ো দামড়া'র" জীবনে নিঃসঙ্গতা বোধের সেই নীলদ্যুতি অনির্বাণ ! যাই হোক, সেই ডায়েরীর ৫ই জুনের পাতার উপরিভাগে দেখলাম লিখে রেখেছি, "নিঃসঙ্গতার মাঝেও আছে এক ধরনের আনন্দ" - হুমায়ূন আহমেদ। হয়তো সে পাতায় হুমায়ূন আহমেদ এর যে উপন্যাস পাঠ করেছি বলে লিখে রেখেছি, সেই উপন্যাসেই বাক্যটি ছিল। উপন্যাসটির নাম লিখিনি ডায়েরীর পাতায়, মনেও নেই, তবে ১৯৮৭ সালের প্রকাশিত উপন্যাসগুলো ঘাটলে পেয়ে যাবো, এখন উৎসাহ বোধ করছি না। এরপর আবার ২৮শে নভেম্বরের পাতার উপরিভাগে দেখলাম এই কথাটাই আরেকটু প্রসারিত করে লিখে রেখেছি, "নিঃসঙ্গতারও একরকম আনন্দ আছে । শূন্যতার মাঝে আছে পরিপূর্ণতা । নৈঃশব্দের গান ।" - হুমায়ূন আহমেদ । হয়তো আমার শব্দান্তর দূষণ । কিন্তু মূল বিষয়টি হলো হুমায়ূন কালে বেড়ে ওঠা আজকের এই আমি "কবি নামক যাহা কিছু বা যা-তা", হুমায়ূন আহমেদ এর উপন্যাসের এই উক্তিটি দেখেই কবিতাটি লিখলাম। ধন্যবাদ।