অহংকার তো থাকেই, থাকতে হয়;
যে বলে আমি নিরহংকার
সে ঘোষণাও কি তার অহংকার নয়?


যে বলে আমি সাদামাটা জীবন-যাপন করি
বস্তুবাদী বিলাস আমি স্পর্শ করি না,
এই বলে সে যে নিজস্ব শুদ্ধতার কথা বলছে,
তাতেও কি অহংকার মিশে থাকে না ?


ঐ ভিক্ষুকও আজকাল অহংকারী
যে দু'টাকা ভিক্ষা নিতে চায় না ;
অথবা ঐ রিকশাওয়ালা, হাওয়া বুঝে
রাজহংসের মতো এগিয়ে যায়
তোমার আহবানের দিকে তাকায় না;
অনেকে শুধু মাংস খায়,
এমনভাবে বলে,
আমি মাছ সহ্য করতে পারি না
এমনকি ইলিশ মাছও না !
সেটাও কি তার রুচির অহংকার না ?


যখন একজন কবি,
সে খুব ভালো লিখতে পারে, জানে-বোঝে,
নিজের কবিত্বে যার আত্মবিশ্বাস আছে,
তখন কিন্তু তার অহংকারকে দোষ দেয়া যায় না;
যেমন কবি জীবনানন্দ আর কবি আল মাহমুদ
বলেছিলেন নিজেদের সুউচ্চ কবি অহংকারেই,
কেউ কেউ কবি সবাই কবি না, সে কবি নয়
যে ছন্দ জানে না;
সতত পরিবর্তনশীল কবিতার কাঠামো চর্চার
বর্তমান কবিতার এ জগতে
তাদের কথা অনেক ক্ষেত্রেই কিন্তু বেদবাক্য না;


"সে একজন কবি" "তিনি নিরহংকার মানুষ"
অন্যরাও যদি বলে,
তাতে কি তার মাঝে গর্ব, অহংকার আসে না?


যথার্থ কারণে প্রতিবাদ,
সেটা প্রতিরোধ, বিদ্রোহ বিরক্তি তিরষ্কার
বলতে পারো রাগ, সেটা কোনো অহংকার না ।


(১৪.০৪.২০২২)