৭.


কোনো এক দেশে
যদি তার সংখ্যাগরিষ্ঠরা,
পুড়িয়ে দেয় সংখ্যালঘুর ঘরবাড়ি,
তখন আমরা অবাক হয়ে লক্ষ্য করি,
অন্য আরেক দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠরা,
ক্ষিপ্ত হয়ে পোড়াচ্ছে
তাদের সংখ্যালঘুর ঘরবাড়ি;


আকাশ বাতাস বৃক্ষ নদী, কেঁদে ওঠে,
ব্যাপার কি ?
আমাদের যারা মাটির হৃদয় তাদের বুক
ভেঙ্গে শব্দ ওঠে, ব্যাপার কি?
শুধু সীমারের মতো খুনী রক্ত চক্ষু নিয়ে
দাঁড়িয়ে থাকে ধর্মান্ধগুলি!


এক দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ-কৃত অত্যাচারে,
অন্য দেশের সংখ্যালঘুর দোষটা কি?


দুটো দেশের জাতিস্বত্তা, সংস্কৃতি
কখনো এক হয় নাকি? এসব ওরা বোঝে না;
ধর্ম রোগে ধর্মান্ধ জাপটে ধরে কারণরূপে
শুধু ধর্মটি!
আগুন দিয়ে শেষ করে দেয় সংখ্যালঘুর
ভিটেমাটি; যেন আলোকিত করলো ধর্মান্ধ
তার স্বর্গের রাস্তাটি।


এভাবেই সংখ্যাগরিষ্ঠের ধর্মান্ধরা
বিষবৃক্ষের মতো বিষিয়ে দেয়,
অগ্নি গিরির মতো ছারখার করে,
                    সংখ্যালঘুদের পৃথিবী ।


৮.


সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রতাপে পুড়েছে পৃথিবী,
পুড়ে চলেছে এখনো;
তাদের পুস্তকগুলি হেতু অহেতুক
ফর ফর করে পাতা উল্টে নাচে
                     বিদ্বেষের বাতাসে;
তলোয়ার ওঠে ঝন ঝন করে
সংখ্যালঘু প্রানীদের নাশে;
ধর্ষকামী সাম্প্রদায়িক চিন্তা অথবা
রাজনৈতিক ধান্দাবাজে,
সংখ্যালঘু হয় ক্ষনে ক্ষনে, সংখ্যাগরিষ্ঠের
ষড়যন্ত্রমূলক দাবার চাল বা বেদির বলি;


আমরা যারা সৌভাগ্যবান দাঁড়িয়ে
সংখ্যাগরিষ্ঠের এই শক্তিমান কাতারে,
অহমিকা থাকুক অথবা নাই থাকুক,  
কিন্তু সম্পূর্ণ নিশ্চিন্ত এক গরিষ্ঠ কিনারে,
তাদের কেউই কী ভাবি না !
স্বচ্ছ আকাশে স্পষ্ট উত্তর লেখা দেখি না !
সংখ্যাগরিষ্ঠের এই ভূমিতে,
যখন কুলাঙ্গার ধর্মান্ধ দলেরা
ঘন ঘন হুংকার ছাড়ে,
তখন সংখ্যালঘুদের কোথায় সামর্থ্য?
দেখাতে পারে ঔদ্ধত্য, অশ্রদ্ধা, অথবা ষড়যন্ত্র
এ কি বিশ্বাসযোগ্য তারা এইরূপ করতে পারে?
যেখানে ওরা নিজেরাই,
সংখ্যাগরিষ্ঠ ধর্মান্ধদের নাগপাশ কারণে,
ভীত সন্ত্রস্ত লজ্জিত
          নিঃসহায় একটি জীবন যাপন করে!


(19.10.2021)