লিখতে ইচ্ছে করে, শুধু লিখতে ইচ্ছে করে ।


অথচ ওরা যেমন বলে, জীবনানন্দ তত্ত্ব সুরে
শঙ্কিত হয়ে ওঠে সত্তা.....
হায় রে ! লিখলেই তো হয় না রে কবিতা ।


শব্দের ব্যবহার বাক্যের নির্মাণে যদি না থাকে
কাব্যিকতা তবে কবিতা যে শিল্প হয় না।
এর ওপর ছন্দ,
বাঁদর আর বাঁশের অঙ্কগুলোর মতো
কিছুতেই মেটাতে পারি না সে দ্বন্দ্ব ।


তখন মনে হয় উপন্যাস লিখি ।


লিখতে গিয়েই বুঝতে পারি সে কম্ম আমার নয়,
উপন্যাসের পটভূমির বিশালতা এমনই হতে হয়
যেন আমি নিউটনের মতো জ্ঞানের সমুদ্র তটে
কুড়োচ্ছি মাত্র নুড়ি। তাও নয়, থুড়ি ।


তখন মনে হয় গল্প লিখি ।


খুঁজে কী পাই আর
নায়ক নায়িকার সুযোগ্য অনুভূতি,
মানসিক টানাপোড়েন, অশান্তি
ব্যতিক্রমী ধরনের জীবনের প্রতি মোহ আর ভীতি।
আমি কী সুনীল অথবা হুমায়ূন নাকি,
বনফুল এর মতো গল্প লেখার জানাই নেই
সে অবাক দক্ষ রীতি ।


লিখবো প্রবন্ধ ?
নেই তো সে সুগভীর পাণ্ডিত্য,
লিখেই যদি ফেলি, অল্প বিদ্যা ভয়ঙ্করী,
হয়ে যেতে পারে সে গদ্য
মাইক ফাটানো রক্ষণশীল অন্ধত্ব।
হবে না তা সর্বজনীন,
আধুনিক ও উদার হৃদয়ের যোগ্য।


শেষমেশ আমি কবিতাই লিখি, নিজের মতো,
নিখিল ভুবনে আমার আমি নিজেই খুশি হয়ে উঠি
অবোধ প্রাণীদের নিজের গা চাটার মতো,
আদর করি আমার মনন আর কলমের সৃষ্টি।


এই অযথা কা কা করে যাওয়া কবিতার দুনিয়ায়,
কেউ কেউ যেন দেখে
আমার চোখে একজন কবির মতো দৃষ্টি।


(২৬.০১.২০২৩)


** কা কা করা কবিতার দুনিয়া - সেটা হয়তো অনেকে বুঝবেন, আমি ঐসব কবি-সমালোচকদের মতো বলছি, যারা কবিদের কাকের সাথে তুলনা করে। মোটেই না, আমি সেটা ইতর, ঈর্ষাকাতর, কুৎসিৎ, হীন অনুভব মনে করি। আমি এখানে উল্টো তাদেরকেই এই "কবিতার তত্ত্বগিরি" নিয়ে নিরন্তর সেয়ানাপনাকেই কা কা করা বলছি।