কবিতা লিখে
যদি বোধের দরজায় না করা যায় প্রচন্ড আঘাত,
না ভাঙ্গানো যায় ঘুম,
তবে কবিতা লিখে লাভ কি?
দুরন্ত বালকের মতো ঢিল ছুঁড়ে
যদি অস্থির না করা যায় বোধের শান্ত জল,
তবে কবিতা লিখে লাভ কি?


জন অরণ্য যদি না হয় উদযাপন মুখর,
ঘরে-বাইরে না ওঠে তুমুল তর্কের ঝড়,
যদি না আসে চিন্তা চেতনায় নতুন ঝিলিক,
নবজাগরণে যদি মূর্ত না হয়ে ওঠে চারিদিক,
যদি নাশ না করা যায় দুরাচার আত্মার ভিত্তি,
যদি সংঘটিত না হয় অসামান্য মানবিক কীর্তি,
মানবজমিনে যদি নাই গড়া যায় গভীর সম্প্রীতি,
তবে কবিতা লিখে লাভ কি?


কবিতা লিখে যদি
মধুময় উদাস না করা যায় যাপিত জীবন,
বেদনার মতো সুখেরা যদি না করে উড়াউড়ি,
ছল ছল না করে ওঠে যদি
              প্রেমিকার চোখের নীড়;
দীর্ঘশ্বাসে দিশেহারা প্রেমিকের বুকে,
যদি না ওঠে যুগান্তকারী একটি চুম্বনের আর্তি,
তবে কবিতা লিখে লাভ কি?


লাভ আছে;
কবিতা লিখে কি লাভ
তা শুধু ঈশ্বরের মতো একমাত্র কবিই জানে;


হয়তো......
দূর কোনো নক্ষত্র আলয়ে
পূর্ণ রহস্যে রক্ষিত আছে
কবি ও কবিতার মানে;
যুগ যুগ চলে গেছে তবু আজও অধরা
কবিতার একটি সুনিশ্চিত সংজ্ঞা
আমাদের বোধ আর জ্ঞানে;
অথচ কবিতার কাজ ধ্রুবতারার মতো
স্থিরসত্য, অতি সূক্ষ্ম এবং অলক্ষ্য
                আমাদের এ মানব ভুবনে;


কবিতা লিখে কি লাভ,
তা শুধু ঈশ্বরের মতো একমাত্র কবিই জানে।


(17.09.2021)