ভূমিকা লিখে নেই জীবনানন্দর সুরে
সব কবি হয়তো নয়, প্রায় কবির, নেহাত না হয় বড় কবির


ঈর্ষা, তার আকাশে ধ্রুবতারার মতো স্থির থাকে
অথবা গণিতের ধ্রুবকের মতো অনঢ়
তোয়াজে তুষ্ট হলে হয়তো পারদ, ওঠানামা করেও
তবে জেগে থাকে ফণার মতো নিঠুরতা, অহং এর পাশে
নিরন্তর


(১) ঈর্ষা


যখন
বাহ! আহা! কি শোনালেন, গুরু গুরু! স্বরধ্বনিত প্রান্তরে
কবির মাফলার, বিজয় পতাকার মতো পত পত করে ওড়ে
সপ্ত নরকের আপাত উৎকৃষ্ট স্তরে তিনি তুষ্টতার চর্বণ করেন
ফের যখন
মুগ্ধ পাঠক অন্য কবির পতাকা ঠেলে উঠিয়ে ওড়ায়,
তার পতাকা পায়ে দলে; কবি তখন সপ্ত নরকের অপকৃষ্ট
নিচতায় এসে পঞ্চইন্দ্রিয়ের প্রতিটি দিয়েই বিষ নির্গমন
করতে থাকেন


(২) নিঠুরতা


গৃহিনী কাপড় কাঁচেন, ভাত রান্না করেন, বাজারে যান
বিকালে একটু সাজেন, দিন ফুরিয়ে যায়, রাতও প্রায়
কবি আর আসে না
কবি তখন
শক্তির মতো ছাপড়া ঘরে গাঁজা টানতে যান, সুনীলের মতো
মদে চুর হয়ে হাতঘড়ি হারান বা স্বাতীকে ভুলে মার্গারিট
আবেশে একটার পর একটা সিগারেট এর শুক্রাণুতে কবিতাদের
জন্ম দেন, অথবা কবি
কফি শপে, ধুমন্ত কফির মসীবর্ণ ছায়ায় রমণীর
শাড়ির ভাঁজে, কবিত্বের প্রণোদনা খোঁজেন;
তারপর হয়তো এ পর্ব শেষ হলে
অন্য কোনো দেবীর মাংসল-বনে অভিসারে যান
সবই কবিত্ব প্রণোদনার জন্য, এ মোটেই নিঠুরতা নয়।


(৩) অহংকার


কবিদের প্রথমে থাকে না, যখন স্তাবকেরা মাটি থেকে
ওঠায়, তখন, শুভেচ্ছার ফুল রূপান্তর ঘটে বাসুকেয়
মালায়, রাতে ঘুমাতে যান কবি শেষনাগ বিছানায়;
অহংকারের অলংকার থেকে কবি আর কোনোদিন
রেহাই পান না।


(০৬.০৫.২০২০)