তোমার কেমন কবিতা ভালো লাগে ?
তােমার নিজের মতো,
নাকি যেরকম পারো না সেরকম কবিতা ?
রূপক, বিমূর্ত, পরাবাস্তব, উত্তরাধুনিকতা ?


তোমার কবিতা তো শুধুই কাঙাল ।
কবি, কবিত্বের ছিঁটে-ফোঁটা সমৃদ্ধ ছায়াও তাতে নেই,
জ্বালিয়ে দিতে পারে না তোমার কবিতা
সেই অবনী কবির মতো শৈল্পিক আক্রোশে
কবিদের প্রতি ক্রুর নির্লজ্জ ছাপাখানা ।
কাঙালি ভোজে তৃপ্তিতে হাত চেটে পুটেও
থামে না তোমার হা হুতাশের কাঙালিপনা ।
তোমার কবিতা তো ধারাবর্ণনার সিঁড়ি ।
রাখে না তাতে প্রেয়সী তার ধবধবে পা,
বরঞ্চ হাতে তুলে নেয় সত্যবাদী হামানদিস্তা
চূর্ণ করে দেয় তোমার সরল বাক্যের হাহাকার
তোমার গোঁয়াড় কবি সত্তা ।


তোমার তো নেই রূপকের মখমল ।
আহবান করবে রূপক রহস্যে
তোমার এলায়িত শরীরের পাশে সমৃদ্ধ শেহেরজাদী,
তোমার এমনই অদক্ষতা যে ভাগ্যেও জোটে না কোনো বাদী ।
তোমার রূপক ছিনালে লাল হয় না  
সম্ভাব্য প্রিয়া অথবা বান্ধবীদের গাল ।
তোমার রূপকে নেই
তড়িৎ রমণের অধিকারে উপযোগ্য,
রাতা মোরগের মতো মোহন লাল ঝুটি ।
নেই রাসপুটিনের মতো ইন্দ্রজাল শব্দের ভান্ডার,
উম্মত্ত হবে না কেউ রাশান জারিনার মতো
দেখাবে না কবি প্রেমে সাম্রাজ্য ভেঙে দেবার মতো ভক্তি ।
ভার্চুয়াল ওয়ালে তুমি নও রূপক কবি নৃপতি
প্রশংসার চুম্বন দিলে, তুমি বলতে পারো না
আটলান্টিক দূর থেকে চিবুক টিপে দেবার মতো আদুরে স্বরে,
কেমন আছো কুন্তি ?
তোমার নেই নায়কোচিত রূপক ।
বঙ্গীয় ছায়াচিত্রের মতো
গাছ থেকে গাছের গায়ে হাত রেখে রেখে  
নাচে না কোনো লাস্যময়ী আরাধ্য নায়িকা ।
পাকড়াও করতে পারো না তোমার রূপক মদির
শব্দের বাহুডোরে
গ্রাম্য পথে ছুটে চলা চিত্রল হরিণীর মতো ববিতা ।
তোলে না তোমার রূপক বাক্য "ও পাড়ার রোজিনার" মতো
কারো ঢেউ খেলানো অঙ্গে রূপময় ব্রীড়া।


তুমি থেকে যাও অবদমিত, নিজের মতো,
ভাগ্যে জোটে না কখনো রূপকের রতিক্রীড়া ।


(২৫.০১.২০২৩)