জল বিরতি
- শুভ্র


একটা কবিতা লিখতে গিয়ে ভাবলাম
তোমার সাথে কথা বলে দেখি,  
হয়তো কবিতার কিছু উপাত্ত উপাদান
সন্ধ্যি,সমাস,কারক,বিভক্তি
কিছু একটা তো ভরে দিবে মনের আসমান।  
কিন্তু তোমার অশ্রুর এমন এক অদ্ভুত প্রযুক্তি
আমার মনে সদ্যজাত সব অদৃশ্য উপাখ্যান
ধুয়ে মুছে দিলো নিমিষেই, ভরে দিলো সত্যি
পুরোটা জুড়ে এক অসহনীয় শূন্য স্থান।  


চেতনা নাশক তোমার এরকম কান্নাকাটি
দিন রাত বানাতে থাকে সে কোন প্রতিষ্ঠান?
এমন ভালোবাসার কারখানাটা বন্ধ করার মিনতি
কাকে করবো? সে আবেদনটি নিজেই লজ্জায় ম্রিয়মাণ।


ক’জনার চোখের জলে থাকে ক’ফটার বিরতি?
যা পেয়েছি আর যতটুকু সময়ে হবে তার অবসান
কেদিন সময়ের কপালেও পরে তিলক চিহ্নের যতি
অলিখিত আবেদনে প্রাপ্ত আলিঙ্গন আর প্রত্যাখ্যান
ভাংবে না কখনই কবিতার দাপ্তরিক সমিতি
মানুষ আমি তাই চলে যাবো ঠিকই
কবিতার হবে না প্রস্থান।  
ঐ চোখের জলের বিরতিতে হয়তো লিখে যাবো অনির্বাণ
মানুষ আমি তাই চলে যাবো ঠিকই
কবিতার হবে না প্রস্থান।