মেঘলা দিনে বসে আছি আমি নাম না জানা কোন নদীর তীরে।  
আমিও যে আছি তোমার সাথে মেঘের পানে চেয়ে
ঝড়ের অপেক্ষায় মেঘ থেকে বজ্র ঝড়াতে।  
বিজলির চাবুক চলবে যখন আকাশের বুক চিরে প্রচণ্ড হুঙ্কারে,
ভয়ে তখন যাব আমি গুটিয়ে শুটিয়ে নিজেই নিজের ভিতরে।  
তুমি যখন যাবে ভয়ে গুটিয়ে শুটিয়ে নিজেই নিজের ভিতরে  
অট্ট হাসিতে ফেটে যাব তখন আমি বিজলির ভয়ানক রূপ দেখে।
মনের ভিতর আমার ক্ষোভের আগুনের ইটের ভাটা জ্বলে,
সেই আগুনের সাথেই বন্দী আমি আমার সেই কাল কুঠিতে।  
আগুনের সাথে খেলবো আমি দমকা হাওয়া হয়ে
তোমার সাথে থাকবো আমি তোমারই বন্ধ অন্ধ কুঠিতে।


যেখানেই যাই যা কিছুই করি জীবন যেন জিম্মি আমাদের
নোংরা কিছু অনিয়মের হাতে, যেথায় পরতে পরতে
দিতে হয় আমাদের বেঁচে থাকার নিদারুণ মূল্য।  
তোমরা হয়তো খেলার পুতুল অনিয়ম নামক নোংরা কিছুর হাতে,
আমার জন্ম অনিয়ম থেকে তোমার তুমির ভিতরে তোমারই অজান্তে।
আমি দুর্বল, আমি মৌন আমি অপারক এই অবিমৃষ্যকারি ভিতু সমাজে,
যেথায় মেপে মেপে নিতে হয় নিঃশ্বাস টাকার অঙ্ক কষে।    
আমি অগ্নি, আমি ঝড়, আমি লাভার আগুন, আমিই ভূমিকম্প,    
হোঁচট খেয়ে পড়ে থাকা তোমার অবিমৃষ্যকারি নিষ্ঠুর সমাজের জন্য।


তোমার তুমি দুর্বলের আর কোন অস্তিত্ব নেই আমি এবং আমার কাছে,
তোমাতে ছিল বসবাস আমার তোমারই বন্ধ গোপন দরজার ও পাশে।
আজ থেকে তুমি আর তুমি নও একক কোন সত্ত্বা,
তুমিতে আমিতে হয়ে গেছি এখন আমি এবং আমরা ।


টোলামোর, আয়ারল্যান্ড
২৮/১০/২০১৪ইং