একটা ঘর ছিলো, কারো নিজের হাতে সাজানো,
গোল পাতার ছাউনি, মাটির ঘর।
মসৃণ হাতের স্পর্শে সিক্ত একটা ঘর, বারান্দা
আর, সামনে মস্ত এক উঠোন!
খুব যত্নের, জানো তো!
রোজ স্নানের আগে কাঁদা মাটি আর গোবরে লেপা মসৃণ সে উঠোন!
ফটকের ধারে একটা বেলি ফুলের গাছ ছিলো।
যখন ফুল ধরতো,
পুরো বাড়ি যেন সুবাসের গুঞ্জনে আচ্ছন্ন হয়ে পড়তো!
কি মায়াচ্ছন্ন এক বাড়ি ছিলো আমার!
দিনের আলোয় ঝলমলে বাড়িটা র রূপ বদলে যেত সূর্যাস্তের সাথেই।
গোধূলির কমলা আভায় মাখামাখি সে রূপ,
আমার মতো অধম কি পারে তার বর্ণনা করতে!
জোঁছনায় ঢাকা রাতের মোহে ডুবে যেন একাকার হয়ে যেত উঠোন খানা!
কখন পাবো তারে? কখন আসবে সে?
নগ্ন পায়ে নিভৃতেই হারিয়ে যাওয়ার মোহে অন্তরের আকুলতা,
সহ্য হয় না ও আর!
সন্ধ্যা প্রদীপের থেকেও আশ্চর্য সুন্দর এক মায়া বাতি,
দপদপ করে জ্বলতো,
বাতাসের ঝাপটায় উঠতো কেঁপে ঠিকই, তবে তা নিভতো না কখনও!


কি জানি কি হলো, একদিন সব নিভে গেল।
না, ঝড় ওঠেনি, বাতাস আসেনি।
নিভে গেল তা তোমার সাথেই,
দপ করে! মুহূর্তেই!
জানি, আর কখনও জ্বলবে না ও বাতি।


জানো, গোধূলির আলো আর আসে না এই বাড়ির আঙিনায়!
জোঁছনার আলো ও বুঝি আর আসবে না।
তুমিও আসবে না, বলো, মৃন্ময়ী?
কখনও না?