হয়তো স্বপ্নের আবেশে আবিষ্ট হয়ে ভাবছি, তাই,
স্বপ্নে যে শরৎ-এর বিজয়া,
বুঝি তাই তোমাতে হারাই!

আর রবি ঠাকুরের কুমুদিনী?
ওর হাতের এসরাজ, অবলীলায় ঝরে পড়া অশ্রু-
বারবার, হাজার বার, আমৃত্যু।
বুকের ভেতর সে যেন বাসা বেঁধে ফেলেছে!
এসরাজের সুরের ধারায়,
বুঝি সে আজ তার দুঃখ ঢেলেছে।
নিদারুণ করুণ।


অশ্রুত সব কথার লাগি উতলা হৃদয় ভরে উঠেছে,
ভরে উঠেছে ভারী একরাশ বাষ্পে-
টলমলে অশ্রু দু’চোখের প্রান্তে
ঝাপসা এ আঁখির অন্তরালে,
তুমিই বুঝি ছিলে একান্তে!

বুঝিনি, কোনোদিন বুঝিনি।
এক ফোঁটা ভালোবাসা গাল ভিজিয়ে নামতে নামতে নিঃশেষ-
যা রয়েছে, আমিই সেই,
আমার ভগ্ন হৃদয় তারই অবশেষ।
বুঝতে পারি না,
স্বপ্নের আবেশে তুমি, না-কি তোমার আবেশে স্বপ্ন!


দম বন্ধ হয়ে আসে-
স্মৃতির বিষাদ বাষ্প ঘর জুড়ে ভাসে,
আকাশ কাঁদে, কাঁদায় আকাশ, আকাশ ভালোবাসে,
বাতাসের আর্তনাদ ছুঁয়ে যায় কোল-
ছুটে যায় নদী তীরে, মিশে যায় কাশে।
তপ্ত রোদে পোড়ে বুকের ছাতি,
ঘোর বরষায় ও চাইনি তোমার বর্ষাতি!
তুমিই তো এসেছ, কালো জোছনা মাখিয়ে,
স্যাঁতসেঁতে বরষার রাতে ভেজা বর্ষাতি জড়িয়ে।


বারবার। বহুবার।