লাল ডায়েরি
                   শ্যামা
লাল ডায়েরিটা রেখে গেলাম বিনতা
সময় হলে পোড়ো
আমার যা কিছু গরল যা কিছু ধোয়া
সব টুকুই লিখে গেলাম
একটা দীর্ঘশ্বাস দৃশ্য বলে তোমার আঁচলে বেঁধে ফেলেছি
ওটার একটা নাম দিও
ও বড়ো হলে বুঝিও, যে রাত্রিগুলো
ভেঙে গেছে আমার তাতে কোনদিন
পা কেটেছে কিনা তোমার
তোমার রক্তে নিজেকে খুঁজেছি বার বার
একথা প্রতিটি দিনের ছায়ায় আজও নড়ে
তোমার লাল টিপ চুঁইয়ে আলো আসত আমার
বিয়াল্লিশ ইন্চি বাগানে
সালোয়ারের প্রতিটি হুঁক তাকিয়ে থাকত
আমার চোখের করুণ কালোয়
এটা কোন ইতিহাসের ডালে না নড়লেও
প্রতিটি সকালে ঘরের প্রথম কোনটা দেখার পর
আজও আমার মনে হয়
ভোরের বাতাস তোমার ছন্দ না ছড়ালেও
তারা বলে যায় --যাও ডাকো
মেয়েটা আর কতক্ষণ ঘুমাবে?
এই যে অজয়ের দুধে কাশফুলের সর
বাতাসে কুমোর পাড়ার কাঁচা মাটির ছোটাছুটি
ঘরের পিছনে যতটুকু ছায়া দাঁড়িয়ে আছে
তার গায়েও নতুন সুতোর গন্ধ
অথচ কতদিন আমি আকাশের খোঁজ নিয়নি
রাস্তার কোন বাঁকের সঙ্গে গল্প করিনি কতো বছর
কোন ফুলের কথা পৌছে দিইনি ঠাকুর ঘরে
শুধু বুকের ভিতর যে মেঘটা গর্ভবতী
তার কাছে ছুটে যায় রক্তিম নালা বেয়ে
বৃষ্টি বকলে শুয়ে পড়ি
দরজা জানলায় কতটুকু আড়াল হয় বিনতা
তুমি আমার থেকে কত আমাজন দূরে
তবুও তো পুড়ছি
আমি কখন ছাই হয়ে গেছি কেউ বলেনা
নিয়মিত আমার শরীরে মাছি বসে
মশারাও ঠুঁকে যায় লাল সেলাম
কালো কুকুর টা কাছে আসে কেমন কেমন তাকিয়ে
অঙ্কের বই থেকে প্রতিটি শূন্য খোঁজ নেয়
আমি সাবধানে সাধ্যমত ক্ষয় হয়ে যায়
শুধু লাল ডায়েরি টা ঠোঁট ফুলিয়ে কাঁদে
ওকে আমি চাঁদ দেখায়
ডায়েরি টা রেখে গেলাম বিনতা
ওর গায়ে নীলাদ্রী জ্বর
পারলে একবার ডাক্তার ডেকো!!