পৃথিবীর এই বিষণ্ণ অমানিশার দুর্বিষহ সময়ের তন্তুজাল ছিন্নভিন্ন করে আমি দাঁড়াবো ঝলমলে উঠোনে সকালের সোনাঝরা বর্ণিল রোদে।
আমি আসবো ফিরে তোমাদের একাগ্র নিমগ্ন ভালোবাসার প্রতিশ্রুতির জন্য।
অবরুদ্ধ দণ্ডিত বন্দীর প্রাচীরের মতো কঠোর শৃঙ্খল ছিঁড়ে আমাকে ফিরতেই হবে শিশিরে শিশিরে ভেজা নরম কঁচি ঘাসের পথ বেয়ে, চেনা অচেনা ফুলের মৌ মৌ সুরভিত মায়াবী বাতাসের আঁচল ছুঁয়ে ছুঁয়ে পাখিদের গীতের আসরে।
মৃত্যুর মিছিল ঠেলে, অতিমারীর কষ্টের পাথুরে রাজপথ বেয়ে আমি আবার ছুঁতে চাই উচ্ছ্বসিত বন্ধুর ব্যাকুল হৃদয়ের কার্ণিশ।
ভরা জোছনায় লুকোচুরি খেলায় শিশুদের উচ্ছ্বসিত আনন্দে আমি আবার বিমোহিত হয়ে যেতে চাই।
সরিষার হলুদ মাঠের প্রান্তে যেখানে ছুঁয়েছে আকাশের নীল,
মৌ আর প্রজাপতির মিলন মেলায় আমি অনর্গল কাব্যিক পঙক্তিমালা ছড়িয়ে দেবো সুবাসিত বাতাসে।


মান অভিমান, দ্বিধা দ্বন্দ্ব, লুকোচুরি, ছদ্মবেশ মুছে পৃথিবীর এই কদর্য কৃষ্ণকায় মৃত্যু-ঝড়ের ঘূর্ণিতে কণ্টকাকীর্ণ সীমাচিহ্ন, দুর্ভেদ্য দেওয়াল আর মনের ভেতর জমানো সাইবেরিয়ান বরফের মতো হিংসা দ্বেষ স্বার্থ গলে এই একই আকাশ হোক আমাদের মিলনের সামিয়ানা।


আবার দেখা হবে।
দুঃস্বপ্নের রাতে আকীর্ণ আমাদের এই বেদনাবিধুর সবুজ প্রাণের গ্রহে জাগবে আবার প্রাণের কোলাহল, বিঘ্নহীন সুন্দর সকালে বলবে হেসে নতুন সূর্য, সুপ্রভাত!