পাহাড় শীর্ষে ভোরের মহৎ আলোয় স্নাত
কিশলয়ের আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্নের মতো
তরুণ পেখম ছড়ায় স্ফটিক-স্বচ্ছ অভিলাষে।
উদাস করা সুগন্ধ বিলাস আর
ভালোবাসার রঙধনু রঙ পরাগে টইটম্বুর
বর্ধিষ্ণু মন সৃষ্টির উল্লাসে উড্ডীন।
অসুন্দরের কৃষ্ণ বিষবাষ্প মুছে অমল সৌম্য
বাতায়নে ছড়াতে চায় উত্তরণের স্পন্দন,
চায় পাখি হয়ে গাইবে জীবনের জয়গান,
ফুল হয়ে ছড়াবে সৌরভ পৃথিবীর বিস্তারে,
আলোর বর্ণিল ছটায় রাঙাবে ভূবন, জনারণ্য।


থরে বিথরে সাজানো তার প্রাঞ্জল বাগান
নিঃশব্দে নীরবে ঘুণোরা খুঁড়ে খুঁড়ে খায়।
ঘুমপাড়ানির নরক জুজুর গল্প শুনে
ধর্মে মোড়ানো মরফিনে ঢুলু ঢুলু চোখে,
বৈভব, খ্যাতি লোলুপ ধূর্তের শৃঙ্খলিত শরবরে
মাৎস্য দ্বন্দ্ব, আত্মকেন্দ্রিতা, হতাশায় নিমগ্ন রুদ্ধশ্বাসে,
ডাইনী ড্রাগসের ঘাতক কাঁটায় বিদ্ধ হয়ে তরুণ
পোহায় চাঁদময় যৌবন অমানিশার অন্ধকারে।  
বের হতে চায়, দেখতে না পায়
কোথায় রুদ্ধ পাষাণ  দ্বার, ভাঙ্গিবার।
দূর সমুদ্রের হাওয়ায় চড়ে আসে অবিরাম
নন্দিত আতশী আলোর বিচ্ছুরণ
-- উদভ্রান্ত তরুণের নেই অনুরাগ তারে ভালোবাসিবার।


শিকল ছেঁড়ার গানে গানে স্পার্টাকাসের মতো  
আঘাত করো শোষণের মর্মমূলে,
মনের বৃদ্ধ অন্ধকারের রুদ্ধ কপাট ভেঙে
স্বপ্নবিভোর অভিযাত্রীর মতো ওড়াতে হবে প্রগতির নিশান,      
স্ফটিক ঔদার্যের মেঘ হয়ে ভালোবাসার বৃষ্টিতে
স্নাত করবে কদর্য পৃথিবীর বিস্তার,
বিজলীর প্রচন্ডতায় আলোকিত করতেই হবে
নক্ষত্রহীন  অচলায়তের অনন্ত মধ্যাহ্ন রাত।
                 ----------------------