চপল তারুণ্যে ভোরের নরম আলোর চুমুতে    
এলোবাতাসে কিশলয়ের ছন্দময় দোলায়
বিহঙ্গ-অভিলাষ ডানা ছড়াতো রূপকথার
রাজকুমারের মতো দিগ্বিজয়ের নেশায়।
দূর নক্ষত্রের বিচ্ছুরিত আলো আহরণে
চঞ্চল ত্রস্ত মন স্বপ্নে স্বপ্নে  বিভোর হতো।    


হাজার বছর কৃষ্ণতায় আকীর্ণ অচলায়তে  
ঘুঘুর কোরাসের  সাথে প্রহর পোহায়।
শৃঙ্খল বাড়ে দূরন্ত অশ্বারোহীর চৈতন্যে,
অনিয়মের জঞ্জাল বিচূর্ণে উদ্যোত তলোয়ারে।
বাঁকা  চাহনি আর চুপকথার বৈতরণী বিদীর্ণ করে
দূর্বার স্বপ্নপুরুষ ছুটে গেলো  আলোর দিগন্তে।      


বসন্তবেলায় রঙিন আবীর প্রজাপতি রঙ ছড়াল
সুরভিত ফুলের পল্লবিত দলে,
সুগন্ধ বিলাসে স্বপ্নক্লিষ্ট সারসমন বয়ে যেত
মেঘের মতন ভালোবাসার নিমগ্ন বেদীতে
হৃদয়ের ব্যাকুল উচ্চারণে পুর্ণতার গৌরবে,
জুড়ে অতুল বন্ধন, মঞ্জরিত হয় নিরেট শৃঙ্খল।


নিশীত শিশিরের বেদনাক্লিষ্ট শব্দময়  পতনের মতো
সময় খসে যায় নিয়মে রুদ্ধ পৃথিবীর বিস্তারে,
তন্তু জালে রুদ্ধ হয় যৌবনের আকাশ ছোঁয়া স্বপ্নকপোত।
সন্ধ্যা নামে ধীরে, দীর্ঘ হয় আততায়ীর কৃষ্ণ ছায়া,
ছুঁয়ে যায় স্পন্দিত প্রাণের অলিন্দে বেদনার নীল,
থাকে শুধু ঘর্মাশ্রুতে ভেজা ফসলের মাঠ মানুষের জন্যে।

                      --------------