স্বপ্ন ছিল ----
গ্রীষ্মের তৃষিত চাতকের মতোন  
স্বাধীকার তৃষ্ণায় ছুঁয়ে যাবে
আরাধ্য শীতল শান্তির বাতায়ন,  
উড়বো ঝাঁক ঝাঁক গাঙচিল হয়ে সবাই
সুবাসিত বাতাসে অনন্তকাল,
কিষাণী গুনগুন কন্ঠে গাইবে নবান্নের গীত,
তরুণ বাঁশিতে তুলবে সুর সুমধুর,
কিশোরীর নুপুর ধ্বনির মূর্ছনায় মুখরিত  হবে নির্জন রোদেলা দুপুর,  
বাবার ঘর্মাক্ত দেহখানি জিরিয়ে নেবে
গাঙের ঝিরিঝিরি বাতাসে,
মায়ের টানাপোড়েনের বেদনার অশ্রুতে আর ভিজবেনা উদাসী আঁচল,  
বোনের আলতা পায়ের রঙে রাঙা হবে
বিবর্ণ গ্রামখানি।


একাত্তরে রক্তঝরা দুঃসহ দিনে ----  
বেয়নেটের তীক্ষ্ণ খোঁচায় ভাইয়ের সুঠাম দেহের রক্ত, বীরাঙ্গনা বোনের সবুজ শাড়ির জমিন ছুঁয়ে আলোর শুভ্রতায়
ভূমিষ্ট হলো দর্পিত পতাকার।
জনম জনমের দাসত্বের জিঞ্জির ছিঁড়ে
মুক্ত বিহঙ্গের আকাশ ছোঁয়ার স্বাধীনতা
আনলো রক্তের প্লাবনে
আর
কুমারিত্ব হারানোর আমৃত্যু নীলাভ বেদনার অশ্রুতে।


এমনতো কথা ছিলনা ----  
অক্টোপাসের অনিবার্য গ্রাসে বিলীন হবে
আজন্ম লালিত নন্দিত আয়োজন,
ঔপনিবেশিক আদিমতায় বুভুক্ষু
আকন্ঠ পান করবে মানুষের স্বপ্নিল ফসল,
দাবীর মিছিলে মুখর রাজপথে ঝরবে
রক্তকরবীর বেদনার পাপড়িগুলো,
বাবার দীর্ঘশ্বাস আর মায়ের স্বপ্নময় চোখে তপ্ত অশ্রুপাত ফুরাবেনা রাক্ষসপুরে,
তরুণীর সম্ভ্রম ব্যবচ্ছেদ করবে ক্ষুধার্ত শকুন,
বণিকের লুটেরা তৃষ্ণার জল হবে
অগ্নিঝরা তরুণ কন্ঠে রাজপথ কাঁপানো শোষণের শৃঙ্খল ছেঁড়ার রাজনীতি।


এমনতো কথা ছিলনা।