অতৃপ্ত প্রমত্ত দস্যু কাড়ে রত্নধন,
ভয়ে তার গ্রামবাসী রয় নিজ ঘরে,
ঋষি বনে জপে সদা ঈশ্বর আপন,
আগ্রাসন জাগে ক্রোধে সাধূর উপরে।  


বলিল কদর্য বাক্যে, ভাগ দিবি ধনে,
সাধু কহে, নিঃস্ব আমি জীবনের ঘাটে,
গুপ্তধন রত্নরাজি অঢেল এ'বনে,
হিরা মণি লহে দস্যু পোশাকের গাঁটে।


জলপাত্র কেড়ে নিল, নিতে মণি বেশি,
ভরেনা সামান্য পাত্র, ঢালে অবিরত,
বিস্মিত ডাকাত ফিরে, মৃদু হাসে ঋষি,
লোভাতুর দস্যু বলে, নিব রত্ন যত।


সাধু বলে শান্ত স্বরে, ওহে! লোভীমনা,
জীবনে লোভোর পাত্র কখনো  ভরেনা।