প্রজাপতির ডনায় আঁকা রংধনু রং  
আলপনা দেখে হৃদয়ের অলিন্দে ছড়াও আবীর,
ছুঁয়ো না প্রজাপতিকে
----- উবে যাবে অপার সৌন্দর্য, নিমেষেই।


স্নিগ্ধ সকালের ফুল, সৌরভ ছড়াবেই,
বর্ণিল দলে মৌমিতা ছুটবে অহর্নিশ,
এমন পাষাণ কঠোর হাতের ছোঁয়ায় তোমার,
ক্ষতবিক্ষত করোনা পাপড়ি
---- বর্ণিল রং, সুগন্ধ বিলাস, রূপ তার, বিলীন হবে মৃত্তিকায়।    


করোনা সংহার নির্মোহ, উদার অকৃপণ দাতা বৃক্ষকে,    
ফলে, ছায়ায়, নির্মল নিশ্বাসে বাঁচায় প্রাণ বৃক্ষ, তাবৎ পৃথিবীর
----- বিদীর্ণ হবে তোমার জন্যে প্রাণের কোলাহল,
মরুময় হবে সবুজের স্নিগ্ধ বনভূমি, তোমারই জন্যে ।  


পাখি গায় সুকন্ঠে, এক চিলতে সুখ ছড়ায় বিষন্ন মনের সাহারায়,
অনাবিল প্রেম তার বিচূর্ণ করো, হত্যা করো তুমি ভোগের লিপ্সায়
---- পৃথিবীর চৌপাশ প্রেমহীন, ছন্দহীন করোনা, বুভুক্ষুর ক্ষুধার্ত আগ্রাসনে।


কলকল বয়ে চলা নদী, একবুক মমতার অশ্রুতে ফলায় ফসল, আমাদের জীবনের জন্যে
---- নদীকে করো তুমি ধর্ষিতা, কলঙ্কিতা, বন্ধ্যা, বর্জ্যের কৃষ্ণতায়।


নারীও নদীর মতোন, ফুল পাখি প্রজাপতি আর ফলদ ছায়াবৃক্ষের মতোন,
অপার চাঁদ জোছনার মতো আরক্ত করে মন, নারী,
অতনু স্নিগ্ধ ছোঁয়ায় থামায় সে রুদ্র বৈশাখী ঝড়, জিঘাংসুর হিংস্র দাবানল
-----  তাকে ছিন্নভিন্ন করো, কলুষিত করো, পণ্য করে গড়ো বৈভব সম্ভার,
সীতার অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়
তাকে বারংবার,
অদৃশ্য তন্তুয় বন্দী নারী অনন্ত প্রহর জুড়ে।


প্রকৃতি অতন্দ্র, মায়ের মমতায় ছড়ায় প্রাণের স্পন্দন।    
নারীও মায়াবী ভালোবাসার উষ্ণতায় জাগায় জীবনের চাঞ্চল্য।