সময় বয়ে যায় স্বচ্ছ নির্ঝর বেগে  
ক্ষণ থেকে দিনে, সপ্তাহে, মাসে, বছরে ----
বছর থেকে শতাব্দীতে, মহাকালের যোজন যোজন পথে।  
হারিয়ে যায় সময়ের অবাধ স্রোতে
প্রাপ্তি, আশা, আনন্দ-বেদনার মূর্ছনা জীবন থেকে।
মুছে যায় হৃদয় থেকে, স্মৃতির অগোচরে
--- যারা ছিল অলিন্দের লাগোয়া বাসিন্দা।
অবিশ্বাসের প্রাচীর চিড়ে ভূমিষ্ট করায় সময় দেবদূত---
অদেখা, অচেনা হয়ে উঠে  বিশ্বাসী--কর্মের সুষমায়।
চিনিয়ে দেয়, জানিয়ে দেয় সময়
একে একে প্রিয় আর পর, কে!
পিছুটান ঠেলে সমুখে ডাকে সময়
আলোর বর্ণিল হিরন্ময় রাজপুরে
স্বপ্নের ফসলের হৈমন্তিক আঘ্রাণে।
জীবন ছুটে বিরহীর -- বন্ধুর পথের ক্লান্তি ভেঙে,      
বিভ্রান্ত বিচ্যুত হতাশ তারুণ্যে উৎকন্ঠিত সময়
ভেসে যায় পাথর প্রহরের মতো শম্বুক চলনে,
নীল বেদনার অশ্রুর তপ্ত-দাহ
ছুঁয়ে যায় বিদীর্ণ হিয়া ব্যর্থ জীবনের।


তবুও সময়ের সমান্তরালে
তাচ্ছিল্যের বাঁকা চোখ হয় ম্রিয়মাণ,
নীলাভ আকাশ জুড়ে কৃষ্ণ মেঘমালা
সরে যায় অনিবার্য নিয়মে,
বেদনা বিধুর বিরহের রোদন,
রাগিণী হয়ে সৌরভ ছড়ায় সময়ের প্রস্রবণে।    
কুহকের কৃষ্ণতা গলে যায়
স্ফটিক স্বচ্ছ আলোকিত সময়ের উষ্ণতায়,
সময় জাগায় স্পন্দন অযুত প্রাণে প্রাণে,
অনন্ত মধ্যাহ্ন রাতের আঁধার মুছে দেয় সময়
আশা আর আলোর গানে গানে।
             -------------