শতাব্দী শতাব্দী ধরে কেটেছে বেদনার প্রহর
জিঞ্জিরে অবরুদ্ধ ম্রিয়মাণ নতজানু জীবনে,    
আনন্দ বেদনা মিলন বিরহ সংকটের আয়তে
মমতা মায়ের অশ্রু সজল অপলক চোখে
প্রার্থনায় তপস্যায় ঝরে গেছে হাজারো রজনী,
বর্গী বৃটিশ পাক হানাদার নাজেহাল হলো
ভাইয়ের দোর্দণ্ড প্রতাপে, রক্তের প্লাবনে,
বোনের সম্ভ্রম লোলুপতায় ব্যবচ্ছেদ হলো,
বাবার বুকের পাঁজর ছিঁড়লো প্রতিবাদে,
সবুজ জমিনে রক্তের আলপনায় আঁকলো
দুরন্ত যৌবন, স্বাধীনতার টকটকে লাল সূর্য।


আজ এই দীপ্ত গৌরব গাথায় আকীর্ণ দেশে    
ধর্মের নামাবলী, নেতার কোর্তা, চশমা পড়ে  
শিশু আর যুবতীর অবল নিষ্পাপ দেহ নিয়ে খেলছিস
পাক জারজ সন্তানের হায়না হায়না খেলা,
অসুর ঘাতক বীরের মাটিতে উদয় হলি
কদর্য বর্বর দানবের ঘৃণিত প্রেতাত্মা।      
রম্য সাধুর সাজে ধূর্ত লুটে স্বাধীনতার নির্জাস, মিথ্যার লুকোচুরি খেলায় সত্য যায় নির্বাসনে।    


যারা এনেছিল অনাগত আগামীর জন্য মুক্তি
তারা আজ বিবর্ণ বিকালে বিকল বাসিন্দা,
সৃজনের কপোতেরা ছুটে গেছে নিষ্ক্রিয় নির্জনে,
অসহায় চোখের বারান্দায় জমেছে প্লাবন।
এই দুর্বিনীত কালোবেলায় যে বাজাবে অগ্নিবীণা,
যে জাগাবে বিস্মৃত মনে প্রণের স্পন্দন
--  তোমাকে এই বাংলার প্রোজ্জ্বল সত্তা রূপে  একাগ্র তপস্বী মাতৃ জরায়ু ছিঁড়ে আসতেই হবে।