বৃটিশ হটাতে শত বছরের বেশি সময় ধরে কতো ত্যাগ, কত রক্ত ঝরেছে। কতো সম্ভাবনার তরুণেরা যশ খ্যাতি প্রতিপত্তির আকাঙ্খা ছেড়ে উৎসর্গ করেছেন নিজেকে দেশের স্বাধীনতার জন্যে।


মাতৃভাষা রক্ষার  জন্যে বায়ান্নএ ঝাঁক ঝাঁক বুলেটে প্রাণ দিলো তরুণেরা অকাতরে। স্বাধীনতা লাভের জন্য বোনের সম্ভ্রম গেলো, লক্ষ লক্ষ প্রাণ ঝরলো, ঘরবাড়ি পুড়ে খাক হলো, উদ্বাস্তু হয়ে গেলো কোটি জনতা। স্বাধীনতা সংগ্রামের দুঃসহ অবস্থায় মুক্তিকামী সহযোদ্ধাদের আর মানুষের ছিলনা কোন শ্রেণী, ছিলনা কোন সাম্প্রদায়িক পরিচয়।


স্বাধীনতার উত্তরকালে ক্ষমতালিপ্সু, মদ্যপ, নারীলিপ্সুক লম্পট শাসকদের অনৈতিক চরিত্রের কালিমা আড়াল করতে ধর্মকে ব্যবহার করছে তাদের সুরক্ষার ঢাল রূপে। রাজনৈতিক নেতৃত্বের অদূরদর্শীতার জন্য, নৈতিকতার সংকটের কারণে তারা আমলাতান্ত্রিক এবং বণিক শ্রেণীর অনৈতিক অন্যায় আবদার গ্রহণ করছে বারবার। গর্বিত অকুতোভয় পূর্বসূরিদের দোদুল্যমান চরিত্রের অযোগ্য উত্তরসূরীরা রাষ্ট্রীয়ভাবে ও সামাজিকভাবে সাম্প্রদায়িক নিশানা, সীমাচিহ্ন চুরমার করে দিতে পারেনি নিজেদের ক্ষমতাকে দৃঢ় করার অভিলাষে।  


তাই আজ বৃটিশদের বুনে যাওয়া বিভাজনের সাম্প্রদায়িক বীজ বিশাল বিষবৃক্ষে পরিণত হয়েছে। স্বাধীন রাষ্ট্রযন্ত্র এবং রাজনৈতিক নেতৃত্ব মদ্যপ ও লম্পটের মতো নতজানু হয়ে সাম্প্রদায়িক শক্তির সাথে খেলছে সেই আদিম বিষবিষ খেলা, নিজেদের ক্ষমতা ও প্রতিপত্তির জন্যে। দেশ চলছে প্রগতির বিপরীতে বিদিশার অন্ধকার অচলায়তের সমীপে।


ধিক্ !  ধিক্ !!  ধিক্ !!!