কজন বলছি, যুদ্ধ তুমি দূর হটো,    
ভেদাভেদ তোমায় মানছি না মানবো না।
কজন বলি চাইনে আমরা কাটা তার বেড়া
পৃথিবীটা হোক সবার।        
কবে আসবে চেতনায় বাস্তব সেই উপলব্ধি
যেদিন সবার হবে এক স্লোগান -
অস্ত্র চাইনা,  সবার জন্য খাদ্য চাই,
বস্ত্র চাই, যুদ্ধ চাইনা মাথা গোজবার
ঠাই চাই।
কবে এ ধরার প্রতিটি মানুষ এক হয়ে
সেই মিছিলে হাটবে,
যে মিছিল দেখে যুদ্ধ বাজ রাজা,  
অস্ত্রের ব্যাপারী, মধ্য যুগীয়ো অন্ধ ধারার
মৌলবাদী, যারা এক রক্ত মজ্জার
মানুষকে অযুত বাটোরায় বিচ্ছিন্ন
করতে নিত্য যারা ফতোয়া দেয়,
যারা সরল প্রাণকে জেহাদী মন্ত্রে
মারণাস্ত্র  গড়ে দার করিয়েছে প্রাণঘাতী
বারুদ স্তুপের উপর।
সংখ্যায় তারা নগন্য কিন্তু সংঘবদ্ধ।
আজও সাধারনেরা হিংসাশ্রয়ী নয় তাই
মন্দিরের পাশে গড়ে ওঠে মসজিদ-গীর্জা-
গুরুদোয়ারা।
তবুও রক্তে ভেজে মাটি, রেঙে ওঠে বহমান
নদী। দাও দাও করে জ্বলে ওঠে মানুষের
বসতি। মানুষ মানুযেরই রক্তে হোলি খেলার
জন্য হয়ে ওঠে অমানুষ। কখনও ধর্মে
কখনও বর্নে। বাটোয়ারায় ওপারের মানুষ
সর্বস্ব ছেড়ে প্রাণ হাতে চলে আসে এপারে
আবার এপারও ছোটে ওপারে। রাজনীতির
পাশা খেলায় চলে সংখ্যা লঘু আর
সংখ্যা গুরুর অঙ্ক কষা।        
এ আমরা কোথায় ধাবিত হচ্ছি!    
আমি সেদিনের অপেক্ষায় আছি যেদিন
ধর্ম নয় বর্ন নয় মানুষের পরিচয়ে
আপন হতে চাইবে মানুষ।