আমি, গর্ভধারিণী মা হ'য়েও মেয়ের মৃত্যু চাইছি,
হে ঈশ্বর, আমার মরনের আগে তুমি ওকে তোমার কাছে টেনে নিও।
কথা দিচ্ছি, আমি কাঁদবো না।
ভূমিষ্ট হওয়ার পর, একটা  চারা গাছ যেমন বেড়ে ওঠে, তেমনই সতেরোটা গ্রীষ্ম-শীত-বর্ষা
ওর শরীর ছুয়ে গ্যাছে।
এখনও ও বোধ হীন অষ্টাদশী, বোবা- কালা-জরবুদ্ধি অবোধ শিশুর প্রায়।কিন্তু তবু্ও ঋতু বিবর্তীয় হয়ে যেমন সময়ের পথ ধরে আসে শরৎ আসে বসন্ত,তেমনই নির্বোধ মননে, যেন প্রাকৃতিক
নিয়মেই ওর প্রাণ শরীরও বৃক্ষের মতই হয়েছে
মুকুলিত- প্রস্ফুটিত। তাইতো
ভয়ে-আতঙ্কে আমি আরষ্ট হয়ে থাকি,
ওকে একা ছেড়ে কোথাও যেতে পারিনে।
নিশ্চিন্তে পারিনে ঘুমোতে।
তাই তো তোমাকে প্রশ্ন, -হে ঈশ্বর -
যদি  কোঁখ ভরিয়েছিলে, কেনো গড়েছিলে প্রতিবন্ধী?
এ যে বড় কষ্টের, না মানা যন্ত্রনার, মননে যাদের
অদৃশ্য দাঁত লোভাতুর নখ সেই শ্বাপদেরা যে ছিড়ে খাবে...........
লোলুপ হিংস্রতায় যারা হায়েনাকে হার মানায়,হিংস্র চিতা যেমন -ঝাপিয়ে পড়ে,
খুরধার সুচালো দাঁতে  ভীত -স্ত্রস্ত হরিণীকে ফালা-ফালা করে, তেমনই অসহায়
আকুতিতে প্রাণ ভিক্ষে চায়, কত না যুবতী  বাঁচাও-বাঁচাও.....,মেলেনা পরিত্রান। তাইতো, আজ-ও বাতাসে নির্যাতিতার
কান্নার সুর মাাথা কূটে মরে।
পচা লাশের দুর্গন্ধ জ্বালা ধরায় প্রশ্বাসে।
থানা-প্রশাষন- আদালত......,
তবুও, -তবু্ও আমি ঘুমোতে পারিনা।তাইতো অনুনয়
তুমি ওকে আমার মৃত্যুর আগে  কাছে টেনে নাও হে ঈশ্বর।
আমি,কথা দিচ্ছি একটুও কাঁদবো না।