▪️শীতকথা


ভাপা পিঠার গরম ধোঁয়া
জিভের জলে ভাসায়,
খেজুর গুড় আর মুড়ির মোয়া
খাওয়ার যে ওই আশায় -
আরো কত স্বাদের খাবার আছে!
শীত-সকাল খুব মধুর ওদের কাছে।


লোম খাড়া শীত,  নেই পেটে ভাত
পোশাক ছাড়া আমরা,
চোখের পাতায়  শিশির প্রভাত
দেহের শুকনো চামড়া;
শীত-সকাল তাই বিষের মতন লাগে,
পথের শিশুর দুঃখ কার ঠিক জাগে...!


▪️আমার স্বপ্ন


অনেক বড় স্বপ্ন আমার আছে।
অনেক বড় হব আমি ভর দুনিয়ায় কাছে।
কথায় কাজে রাখব মিল আর মানবো সদাচার,
সময়মতো করব আহার নেব কর্মভার।
সবার সাথে হাসি মুখে বলব আমি কথা,
ভুলভাল্ খুব বলব না'ক অমনি যথাতথা।
স্বাস্থ্যটাকে রাখতে ভালো রোজ সকালে আমি,
খালি পেটে থানকুনি খাই একাজ খুবই দামি।
না-বলতেই এগিয়ে যাব সবার উপকারে,
করব ক্ষমা সবার ভুলই হোক সে বারে বারে।
নিজের ভাইয়ের মতন সবাই কে-বা বলো পর,
পর বলে কেউ নেই জগতে সবাই যে তৎপর।
শরীর যেমন সকল অঙ্গে মিলে মিশে চলে,
চলব আমরা তেমনি সবাই এখন সদলবলে।
এসব ইচ্ছে মা শুনলে আজ বলবে, "সোনামণি,
অনেক বড় হও তুমি বাপ আমার রত্নখনি!"


▪️নতুন বছরে আমি


নতুন বছর আমাকে আজ
অক্রোধী খুব  করো
অমানী খুব করো
নিরলস খুব করো
পাওয়ার জন্য করব সদা কাজ;
এমন হৃদয় গড়ো
আনন্দতে ধরো
সত্য যে খুব  বড়ো
এমন ধারায় করো গো বিরাজ!
নতুন বছর নতুন বছর
শুনবে আমার কথা!
আজ যে আমি অজর অমর,
সৎ ভাব যথাতথা।


▪️এই বছরটি


এই বছরটি এমনই হোক
বইমুখী সব ছাত্র,
পড়ার দিকে রাখব-ই ঝোঁক
জ্ঞান পাব যেইমাত্র।
এই বছরটি এমনই হোক
মোবাইল গেইম সব রেখে,
মনের স্বাস্থ্যে থাকব নীরোগ
থাকব শুভ মেখে।
সারাবছর সু-কাজ নিয়ে খুব
থাকব মেতে আর কু-কাজ চুপ।


▪️আমার গ্রামখানি


এসো, এসো, এসো সবাই,
দেখো আমার গ্রামখানি,
সবুজ পাতা অবুঝ ডাকে
দিচ্ছে যেন হাতছানি।


উড়ছে কত পাখি
দেখে জুড়াই আঁখি,
ইচ্ছে করে সারাবেলা
সবুজ মাঠে থাকি।


সরল কৃষকেরা
করছে চলাফেরা,
কাঠের আঁকশি কাঁধে নিয়ে
যাচ্ছে জোয়ানেরা।


এসো না ভাই আজই এসো-
দেখবে আমার গ্রাম;
পায়ে হেঁটে চলছে সবাই
নেই কেনো বাস-ট্রাম।


রঙিন ঘাসের ফুল
খুকুর কানের দুল,
দুধের শিশু ধুলো মেখে
আনন্দে আকুল!


▪️হতাশার অবসান


আমার কাছে 'হতাশা' খুব
নিছক শব্দমাত্র,
বিফল হয়েও নই আমি চুপ
চেষ্টা দিবা-রাত্র।


মনটা জেনো দুর্বল হলে
শমন আমায় ধরবে,
থাকব যেন মড়ার দলে
কে-বা তখন তরবে?


রোগ-শোক আঘাত-ব্যাঘাত
আসুক যত বাধা,
রুখে দেব সব প্রতিঘাত
কাটব সকল ধাঁধা।


হতাশা এক বৃথা ভাবনা
কুফল আনে ডেকে,
সুফল-টুফল কিছু চাই না
চলব চেষ্টা রেখে।


চেষ্টাই এক মহাশক্তি
জীবন চলার পথে,
চেষ্টাঅলা অমন ব্যক্তি
চড়বে সফল রথে।



সোনার ছেলে
শ্যামলকুমার সরকার


দিনের মাঝে সকালবেলা
সেরা সময় জানি,
না-হোক হেলা শিশুবেলা
গড়তে জীবনখানি;
সকালবেলা ঘুমিয়ে যারা থাকে,
কর্মে তারা বিফলতা রাখে।
ছেলেবেলায় হেলায়-ফেলায়
পাড় করবে যারা,
কাটবে জীবন অবহেলায়
দুঃখ রইবে খাড়া।
সৎ স্বভাব তাই খুবই দরকার আজ,
ধরবো আমরা সোনার ছেলের সাজ।


ইচ্ছে জাগে ছোট্ট বুকে
শ্যামলকুমার সরকার


ইচ্ছে জাগে ছোট্ট বুকে
পড়া নিয়ে থাকি
দুষ্টুমিটা রাখি;
নতুন পড়া রাখি টুকে,
নয় তো পাব ফাঁকি!


বর্তমানে ছেলেরা সব
মোবাইল নিয়ে থাকে
না-মানে তার মাকে;
পড়া রেখে খেলার উৎসব,
রাতঘুমে নাক ডাকে!


আমি হব সোনার ছেলে,
মা বকবে খুব দূরে গেলে।



পড়ার আহ্বান
শ্যামলকুমার সরকার


ছেলেরা সব মোবাইল-গেইমে
যেভাবে খুব মাতছে,
কু-ফল পাবে ক'দিন বাদেই
মরণের ফাঁদ পাতছে!
আজও সবাই ফিরে এসো,
বই নিয়ে ভাই পড়তে বসো;
অবহেলায় না-যাক সময়
জ্ঞানপিপাসু হই,
জীবনটাকে গড়তে হলে
হাতে ধরো বই।


সরলসোজা
শ্যামলকুমার সরকার


সরল পথেই চলবে ভাবো,
সোজা হয়েই হাঁটবে!


পথের বাঁকে চলতে শেখো,
হাঁটলেই তো পা বাঁকবে।


সরল-টরল যা-ই হও ভাই
বেকুব হয়ে থেকো না,


রুগ্ন সরল হয়ে সে তো
মরণ পথে ফেলছে পা।


লক্ষ্যমতো চলো
সূক্ষ্মমতো বলো।


অতুলনীয়া মা
শ্যামলকুমার সরকার


আমার মায়ের মুখখানি ঠিক
সর্ষে ফুলের মতো,
হলুদ অভায় স্নেহ জাগায়
ভালোবাসে কত!
আমার সত্যি কি মনে হয়
শোনো না ভাই আজ-
বিশ্ববুকে মা থাকে যার
সে-ই তো মহারাজ।
মাকে সবাই ভালোবেসো ভাই,
মায়ের থেকে শ্রেষ্ঠ কেউ যে নাই।



অকপট ইচ্ছে
শ্যামলকুমার সরকার


অনেক সময় খুবই ভাবি
সুন্দরভাবে চলব,
সময়ের কাজ সময়মতো
শেষ করে সব ফেলব;
মুখে বলি এক কথা আর
কাজে করি অন্য,
নীতির চিন্তা করছি বটে,
হচ্ছি কিন্তু বন্য;
কথায়-কাজে ভিন্ন না-হোক, ভাই,
অকপট হই, মানুষ হতে চাই;


এস সবাই শফত করি,
"মুখে সত্য বলব,
সত্যপথে কর্ম নিয়ে
সব সময়ই চলব।"


ভাবছি ভালো কর্ম ছেড়ে!
নিজেকেই নিজে দিচ্ছি মেরে!


কাজের তুক
শ্যামলকুমার সরকার


কোন কিছু করতে গেলে
বিফল হব তাতে কি!
বিফল-ভয়ে চেষ্টা ছেড়ে
পেয়েছ লাভ হাতে কি?
বারবার হলেও বিফল
তবু চেষ্টা ছেড়ো না,
ওই চেষ্টাই মুক্তি দেবে
সফল মঞ্চে রাখবে পা।


মনের যত দুর্বলতা সব মুছে রে আজ;
অবিরত চেষ্টা নিয়ে করব রে সু-কাজ।