একুশ আমার মায়ের বুকের সুধার মতন
আমি তৃপ্তিতে পান করে চলি তা-ই
আমি যত হাসি আমি যত কাঁদি
এই ভাষা যেন এই অন্তরে ভাসে;


একুশ আমার সবুজ পাতার আবডালে থাকা
দুষ্টু দোয়েল শুধু ডাকে আর ডাকে
অন্তর তলে যত সুখ জ্বলে সাদা আর কালো
সব যেন সেই ভোরের পাখির মতো;


একুশ আমার শাপলা ফুলের কোমল পরাগ
অজপাড়াগাঁয়ে কৃষক-কৃষাণী যারা,
প্রেমের পরাগ প্রণয় প্রকাশ সহজ আকুতি
একুশের বোঁটা ধরে ঝুলে থাকে সব;


একুশ আমার স্বাধীন দেশের বৃদ্ধা জননী
কন্যাকে তাঁর দেশবোধে মেখে এক
ভাষার হৃদয় দিয়েছিল গেঁথে অসীম সোহাগে
অবশেষে তাই নিয়ে এল স্বাধীনতা ;


উর্দু যখন আমার ভাষাকে মারতে চেয়েছে
আমরা মায়ের দামাল ছেলেরা ঠিক
রুখে দিই সেই অপরাধ সব ফোটাতে মায়ের
মুখের হাসিটা সেই তো বাংলা ভাষা।