যতীনবাবু পুজোর সময় যাচ্ছে শ্বশুর বাড়ি,
বউয়ের অর্ডার- নিতে হবে  একটা দইয়ের হাঁড়ি।
যা-তা হাঁড়ি চলবে না গো মস্ত বড়ো হাঁড়ি চাই,
নইলে আমার বাপের বাড়ি সত্যি কিন্তু এন্ট্রি নাই!
বাধ্য হয়ে যতীনবাবু কিনছে দইয়ের হাঁড়ি,
হাঁড়ি তো নয় ইয়া বড়ো ঢিবির মতো চাড়ি!
তিন পেয়াদা সাথে গেল দইয়ের হাঁড়ি পৌঁছাতে
কিন্তু ব্যাটা দুপুরভোজে শুধু লঙ্কা পায় পাতে!
কাঁচালঙ্কা, এক গেলাস জল, মোটা চালের ভাত,
শাশুড়ী মা বলছেন, বাবা, আর যে খেতে রাত!
পেট ভরে, বাপ্, নাও খেয়ে নাও, আমি একটু যাচ্ছি,
তোমার বউ কি এসব খাবে?  কিছু  টাকা চাচ্ছি,
দাও না বাবা, কাছে তো বাজার, কিছু কিনে আনি,
আমরা তোমার সবচে আপন এমন কিন্তু  জানি!
যতীনবাবু খাওয়ার মধ্যেই বের করে দেয় টাকা,
শাশুড়ী-মা মুচকি হাসে চোখটি ঈষৎ বাঁকা!
ইতোমধ্যে যতীনবাবুর খাওয়া হলো শেষ,
এঁটো থালা যাচ্ছে ধুতে  স্বভাব-টা তো বেশ!
শ্বাশুড়ি-মা বাধা দিয়ে বলছে, যতীন,  থামো,
বাড়ি তো নয় শ্বশুর বাড়ি, থালা কেন আনো!
ওসব তোমার শ্বশুর ধুবে, হাত ধুয়ে বাপ্  এসো,
বাড়ির মতো আর করো না, সুখে ক'দিন বসো!