🔳 তোমার অর্থ
       -শ্যামল কুমার সরকার

(প্রয়াত শ্রীঅনাদি মোহন মন্ডল শর্মা প্র.ঋ. স্মরণে)


যিনি অনাদি-পুরুষ তাঁরই বিকিরণে
সমগ্র জীবন তুমি অনুকূলে রাখি;
বিবেকের ওই উচ্চারণে-
তোমার তন্ময়ী মন, স্থিরতম আঁখি!
অবিস্মরণীয় তুমি,  তোমার জীবন
যেন ধ্রুবলোকে সদ্দীপ্তির আলোড়ন!


বাল্মিকীর চিত্রপটে তব প্রতিচ্ছায়া!
কত মৃত্যুভুক নর তোমার পরশে
পেল চিত্তসুখ, সুস্থি-কায়া!
নীরোগ-সমৃদ্ধি তুমি এনেছ হরষে!
তুমি যে মহান!
জীবনবৃদ্ধিতে তুমি আত্মদানী প্রাণ!


মহাভারতের মতো, সে-কাব্য অমর;
তোমার কলমে সে-যে আঁকা
দৃপ্তাক্ষরে কাব্যি যেন জাগৃতি-সমর
জীবন-প্রদীপ যেন জীবক্রোড়ে রাখা।
অনুকূল-জীবনবেদ যে,
অপরূপ প্রেমসুখ! সমৃদ্ধির ন্যায্যে।


প্রগতি-নিষ্পন্না তুমি, এ ঈশ্বরাশিসে
অনাদিকালের  ওই মহাজাগরন,
বেঁচে আছ কর্মপটে এ হৃদয়ে মিশে,
নাই তোমার মরণ ;
আমাদের হৃদে যেন অনাদিগতিতে
অনাদিনামের অর্থ রচিলে মতিতে।


🔳 বিরহ-বীণ
-শ্যামল কুমার সরকার


(কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজীর স্মরণে)


আকাশে ধূসর আলো, বিষন্নতার হৃদপিণ্ডে অশনিসংকেত
বজ্রে হাউমাউ শুধু তোমার বিদায়ে;
ওগো, বন্ধু, হই অনিকেত!
বাংলা যেন চিরকাল ঋণী ঐ শুভ্রতার পায়ে।
ভালো থেকো, নিরন্তর ওদেশের বুকে,
অপাপবিদ্ধ যে তুমি আমাদের হৃদে,
তাই ধমনীর লাল প্রাচীরে বিরহী রক্তকণা মাথা ঠুকে!
তোমার বিদায় যে মরমে বিঁধে!


তোমার ঐহিক অবদান চিরঞ্জীব!
সেই রেখে যাওয়া স্মৃতি বুকে নিয়ে বলি তুমি আছ চিরদিন।
চিরকাল অমর-সজীব ।
তবু বাজে; বাজে এ বিরহ-বীণ!