শঙ্খ ঘোষের শূন্যপুর
(কবি শঙ্খ ঘোষের স্মরণে)


এখন সব নস্টালজিক, দুঃস্বপ্মের বোঝা ভারী, শূন্যতায় জমে পলি।
এ ভাবেই আমাদের জীবন কাটে, পাড়ি দেয় কত চোরা অলিগলি।


তুমি মেঘমালা হতে চেয়েছিলে, মেঘদল এত কাছে এসে ছুঁয়ে দিবে তোমায়;
বুঝতে পারিনি, প্রিয় কবি, তোমার কবিতায়।


শূন্যতা মহাশূন্যতার অববাহিকায়,
তুমি কি এখনও আমাদের দুখের পাশে বসে আছ 'নেই হয়ে',
কিংবা শুয়ে আছ মেঘমালার ছায়!


শূন্যতার বড়ো বড়ো ঢেউগুলো কি তোমার কবিতা বুঝতে পারে?
আমরা যেমন অবাক হই, তারাও কি অবাক হয়, তোমার কবিতা পড়ে?
ঢেউগুলো কি তোমাকে শান্তি দেয় সন্ধ্যানদীর জলের মতো করে!


এখন কিন্তু আমরা তোমার কবিতা বুঝতে পারি,
বুঝতে পারি শূন্যতা আর শূন্যতার ভেতরকার ঢেউ।
শূন্যতায় বসছে কবিতার আসর,
জমছে চমৎকার, যবনিকার পর মহাযবনিকায়,
শূন্যতার পর মহাশূন্যতায়।


এখন সবাই আসছে দ্রুত,
খুব দ্রুত শূন্যপুরে।
নতুবা শূন্যপুর কীভাবে উঠবে
আনন্দে ভরে!
'শব্দহীন'ই বা কীভাবে আসন নিবে
কবিতার 'পরে।
আমরাও দাঁড়িয়ে আছি অদূরে।
পাঠিয়ে দিব তোমার জন্য এক ডালা কবিতা আবার,
শব্দহীন উপহার।
ভালো থেকো, কবি, ওপারে।