আজব মোদের জীবন খানা, কুল পাইনা ভেবে
সূর্যি মামা অবাক করে দিনের শেষে নেবে।
জীবন জুড়ে কতই বানী, তুমিও বোঝ নাকি তাকি?
আজও যেন মনে হয়, সারা জনম খানাই ফাঁকি।
সাগর পানে জল ছুটে যায়, মেঘ ছুটে যায় হেঁসে
পাহাড় বলে ভালবাসি, তাইতো সে আমার কাছে আসে।


উলঙ্গ শহর শিশু, বর্ষা দিনে মহা সড়কে একা জলক্রীড়া করে
নির্জন কোন খুজে নিয়ে কবি, আজ কেমনে গান ধরে?
উড়ছে একা শঙ্খচিল বিজলীর ঘনঘোরে
আঁধার আজ চারিধার, সে কেমনে ফিরবে ঘরে?
আকাশে কড়কড় ধ্বনি, বাতাসে শন শন
নিচে নদী বহে ছলাৎছল, সে ছাড়ে ডাক মনে করে প্রিয়ার মুখ এখন।


বিজলী বিহীন গ্রামখানি আজ, ঝিঁঝিঁ পোকার গ্রাসে
আষাঢ় সন্ধ্যায় আজও এথায় জোনাকিরা হাসে।
রাখাল বালক বাঁশীর সুরে, জানায় চৌরাশিয়া
এই জ্যোৎস্না রাতে আজও মাতে মিলনউৎসবে, হিয়া
এখানে বনের মাঝে, মনের মাঝে অব্যক্ত প্রেম জেগে ওঠে
নদী ভরা জলের মাঝেও, আমি তোমায় ভালবাসি থাকে ঠোঁটে।


আয়রে যত নবীন আলো
পুব গগনের সরিয়ে কালো।
এক আকাশতলে মিশি মোরা, ঝোড়া ঝোড়া ফুলের তোড়া
প্রেমের নিশানায়, ওই আকুল নীলিমায়।
প্রেমের এই ঝর্নাতলায়, সকল বাঁধন টুটে আয়
আয়রে সকল পাষাণ হতে, আয়রে সকল আলোয় মেতে
প্রেমের আলো গায়ে মেখে, এক নদীতে নাই  
ভালবাসি বলি সবাই, আর প্রেমের এ গান গাই।