আমি আজও কবিতা লিখতে চাই
প্রচলিত প্রবাদ আর সুঠাম শরীরের ভিড়ে
আস্তরণ খুলতে খুলতে বেড়িয়ে পরে
আশ হীন হিমশীতল আরও একটা শরীর
ঠোঁটের কাছে ঠোঁট এনে দেয়
চোখের উপর চোখ রাখার পর
আদর নিঙড়ে নিতে চায়
তুলতুলে নরম কোমল সে শরীর
এবার বন্ধ করার সময় চোখ
কুমারী দুধের ঘ্রাণ ভেসে আসে
দুধের কুমারীত্ব থাকে চির অক্ষয়
আজ বর্বর এই দুই হাতে
দেখ প্রাণ দেখ কত ভবিষ্যতের শক্তি
আজ লাল হলুদ গোলাপের পাপড়ি চারিদিকে
হে ভগবান - এ সন্তান আমার
খোল তব হৃদয় দুয়ার
তুমি তো জানোই না
আমি আজও কবিতা লিখতে চাই
ধর্মতলা থেকে গার্ডেনরিচ গ্রামে ট্রামে
ধনী গরীব নয় কেবল একটি কবিতা হয়ে নামে
হিব্রু সেমেটিক সকলের স্থির ছিল ছিল ক্ষয়
ঘৃণা হীন বিষাদ হীন ভাষারা ছড়িয়ে আছে
চারিদিক থেকে কুড়িয়ে নেব গোলাপ
তোমার জন্য আমি ভাষা জানিনা
শ্মশানের নির্জন এক কোনে
শবদেহে নখ দিয়ে আঁচর কাটবে বলে প্রতীক্ষায়
আমার জন্য পাপ নেই পুণ্য নেই
লাভ নেই ক্ষতি নেই নেই নেই কিছুই নেই আমার
আমার দুর্বলতা ক্ষমা কর
সবুজ বিপ্লব ছিল পদে পদে ছিল জোট
কৃষকের মুখে অন্ন নেই
তাদের ঝুলন্ত লাশ আছে এদিকে সেদিকে ছড়িয়ে
কারা যেন কুড়িয়ে নেবে ভোট
তুমি তো জানোই না
আমি আজও কবিতা লিখতে চাই