গায়ের জোরে ছলে-বলে হরিধনের ভূমি লুটি,
পরের ধনে নিজের মতো করছ বাবু বাহাদুরী,
অন্তরালে সাজিয়েছ চুরির ধনে জমিদারী,
নামের আগে লাগিয়েছ কুলীন কুলের উপাধী,
চামচা পুষে নামের তারিফ ছড়িয়েছ বাহারী,
সহজ-সরলকে ধোঁকা দিয়ে ভাবছ ওরা পাহাড়ি,
খায়েস মতো করে সবি কুড়িয়েছ ক্ষণিকের খ্যাতি।


দুর্নীতির আয়ে মনোরম মসজিদ করার অভিলাষে,
নিজেকে মহৎ বলে জাহির করেছ সমাজে,
পরের জায়গায় জোর করে মসজিদ দিয়েছ নেকীর আশে,
এমন গর্হিত কাজে আমার আল্লাহ খুশি না যে,
ওরে মূর্খ, চিন্তা করে দেখ কিছুক্ষণ,
সকল নেকীর মালিক ভূমিদাতা হরিধন,
জোর আমলে পরধনে করলি যে ভূল,
যুগ যুগ জ্বলবি রে তুই দিবি তার মাশুল,
জ্ঞানী হয়েও মূর্খের মতো করলি রে পাপ,
হরিধন প্রতিক্ষণই দিচ্ছে তোকে অভিশাপ।
কৃত্রিম ভালো মানুষ সেজে কি লাভ বল জগতে,
দু'দিনের বাহাদুরী, বুঝবি শেষে পরকালে,
পাবি না তুই বেহেস্ত রে মরবি ধুঁকে নরকে।
                    @@@
রচনাকালঃ ২১/১০/২০১৮ইং, রবিবার, নিজবাড়ী।
২৩ঃ৩০ ঘন্টা